বুধবার

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫


২৬ ভাদ্র ১৪৩২,

১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ঢাকা ইপিজেডে হংকংভিত্তিক পোষাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা

বিশেষ প্রতিবেদন || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৮:১৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ঢাকা ইপিজেডে হংকংভিত্তিক পোষাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা

ইনফোগ্রাফ বিজনেসইনসাইডারবিডি

ঢাকা (০৭ ফেব্রুয়ারি) : কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে না দিয়েই পোশাক কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে লেনি ফ্যাশনস লিমিটেড। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির ৬ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত এক ফেব্রুয়ারি থেকে কারখানাটি বন্ধ করে দেয়। 

ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) ভেতরে কারখানাটির অবস্থান হওয়ার কারণে যেকোন সময় পাওনার দাবিতে বিক্ষোভ হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। ২৫ বছরের পুরানো লেনি ফ্যাশনস লিমিটেড হংকংভিত্তিক মাস্ট গ্রুপের এদেশীয় সহযোগি প্রতিষ্ঠান। 

গেল জানুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত এক সংক্ষিপ্ত নোটিশে কারখানা বন্ধের কথা জানানো হয়। ওই নোটিশে আরো বলা হয়, কারখানাটি নতুন ক্রেতার কাছে বিক্রি করার পর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হবে। 

তবে পাওনা পরিশোধে লেনি ফ্যাশনসের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে ডিইপিজেড। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই কারখানাটি বিক্রি করতে আরও মাস খানেক সময় লাগতে পারে। এই সময় কর্মকর্তা-কর্মচারি ও শ্রমিকরা আয় ছাড়া কি করবে। 

ডিইপিজেড’র মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর এ প্রসঙ্গে রবিবার বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ’কে জানান, কারখানাটি বন্ধ করতে সময় লাগবে। এই সময় শ্রমিকরা বিনা পারিশ্রমিকে থাকতে পারবে না। 

তিনি জানান, আমরা তাদের (লেনি ফ্যাশনস) প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করতে বলেছি। এছাড়া কারখানাটি বিক্রি করার জন্য বেপজার কাছে যে ‘অনাপত্তি পত্র’ চেয়েছে তাও নিয়ম অনুসারে হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা। 

সাড়ে ৩ লাখ বর্গফুট জায়গা নিয়ে তৈরি কারখানাটিতে মোট ৬ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক কাজ করতেন। বছরে কারখানাটি সাড়ে ৬ লাখ ডজন নারী-পুরুষের পোষাক তৈরি করতো। এছাড়াও কারখানাটিতে রয়েছে এব্রয়ডাারি প্লান্ট, লন্ড্রি ও সুজ্জিত ল্যাবরেটরি। 

বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকর্চারাস এন্ড এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) গত অক্টোবরে দেওয়া এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দেশের এক হাজার ১৫০টি ফ্যাক্টরির কার্যাদেশ বাতিল হয়। এতে তিন দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়। 

চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে গামের্ন্টস পণ্য রপ্তানি করে ১২ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এক দশমিক ৫ শতাংশ কম। 

দেশের ৪ হাজার ৬’শর বেশি গামেন্টস তাদের তৈরি পোষাক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে থাকে। 
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়