বুধবার

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫


২৬ ভাদ্র ১৪৩২,

১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সড়ক উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ৫’শ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০২:৫৫, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ০২:৫৬, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
সড়ক উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ৫’শ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি

বিশ্ব ব্যাংকের লোগো

ঢাকা(০১ ফেব্রুয়ারি): দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ৫’শ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। এই টাকা ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক এবং তৎসংলগ্ন আভ্যন্তরীন সড়ক উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। এতে করে পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষের যাতায়াত সহজ হবে।

সোমবারে বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া এক বিবৃতিতে এতথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেমবন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেনে।

‘দ্যা ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডর এন্ড রিজিওনাল এনহেন্সমেন্ট (ইউকেয়ার)’ প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে যশোর- ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুই লেন বিশিষ্ট সড়ককে চার লেনে উন্নতি করা হবে। এছাড়া নতুন বাজার তৈরির পাশাপাশি স্থানীয়দের যাতায়াত সহজ ও সাশ্রয়ী করতে ৬’শ কিলোমিটার পর্যন্ত আভ্যন্তরীন সড়ক মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। একইসঙ্গে মহাসড়কে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে দ্রুতগামী ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ারও কাজ করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় প্রথমে দেশের চারটি জেলায় কাজ করা হবে। এগুলো হলো যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গা।

ইআরডি সচিব বলেন, প্রকল্পটির মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে তা পরবর্তীতে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির গতিকেও তরান্বিত করবে।

বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, যানবাহন ও যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল হলে কৃষকেরা স্বল্প সময়ে ও কম খরচে তাদের কৃষি পন্য বাজারে নিয়ে আসতে পারবে। ফলে পচনশীল দ্রব্যের ক্ষয়ক্ষতি কমবে। এছাড়া এই ইকোনমিক করিডর স্থানীয় বাসীন্দাদের সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দিবে এবং স্থানীয় বাজার ব্যবস্থাতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। এটি বাংলাদেশকে বাণিজ্য, ট্রানজিট এবং লজিস্টিকের আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। ‘

এছাড়া সড়ক দূর্ঘটনা এড়াতে ‘সেফ সিস্টেম এপ্রোচ’ প্রকল্প পরিচালনা করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ধীর গতির বাহনের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা হবে এবং রাস্তায় সংকেত স্থাপনসহ নিরাপদ রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা করা হবে।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়