যুক্তরাষ্ট্রে নন-অ্যাপারেল পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৪৮ শতাংশ
জান্নাতুল ফেরদৌসী || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১৯ জানুয়ারি): ২০২১ সালের ১১ মাসে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নন-অ্যাপারেল পণ্য রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৮ শতাংশ বেড়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ১১ মাসে বাংলাদেশ ৪৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের মার্কেট শেয়ারে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটিইএক্সএ) জানিয়েছে, এর আগের বছর একই সময়ে বাংলাদেশের আয় ছিল ৩৩৪ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আগের বছর বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী কম্বোডিয়া ৪৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ মার্কেট শেয়ার অর্জন করেছিল। থাইল্যান্ড ৩৪৯ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ মার্কেট শেয়ার অর্জন করেছিল। আর অষ্ট্রেলিয়া ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে ১৯ দশমিক শতাংশ। তবে প্রবৃদ্ধি কমেছে এবং শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ মার্কেট শেয়ার দখল করেছিল।
ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বলেন, বর্তমানে দেশে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। এ ছাড়া চীনের কিছু পণ্যের ওপর আমেরিকা উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে। আমার মনে হয়, করোনা মহামারি কমে এলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এই অর্থবছরে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক এস এম শফিউজ্জামান বলেন, করোনাভাইরাস আক্রমণ এবং নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে সারা বিশ্বে ওষুধের রপ্তানি বেড়েছে। এ ছাড়া, বেইজিংয়ের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের কারণে ওয়াশিংটন বিকল্প উৎসের সন্ধান করছে। আমাদের রপ্তানিতেও এর প্রতিফলিত ঘটছে।
২০১৯ সালে নন-আরএমজি খাতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩০৯ দশমিক ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২০ সালে তা বেড়ে ৩৫৪ দশমিক ১০ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল।
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাসে কম্বোডিয়া ৪০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, থাইল্যান্ড ৩৪৬ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অস্ট্রেলিয়া ৩২৪ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যের মধ্যে ছিল চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ, চা, তামাক, প্লাস্টিক পণ্য, ওষুধ এবং সমুদ্রে চলাচলকারী জলযান।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় রেকর্ড ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে তৈরি পোশাক ছিল ৪ দশমিক ০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ রপ্তানি আয়ের পরিমাণ এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ৪৮ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি।
রপ্তানিকারকরা আভাস দিচ্ছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে।
ওটিইএক্সএ আন্তর্জাতিক মার্কেট থেকে ১১ মাসে ৬২ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মূল্যের নন-আরএমজি পণ্য আমদানির রেকর্ড করেছে। এ আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। সেই সময় এর পরিমাণ ছিল ২৮ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।






















