Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
গ্যাসের দাম আবাসিকে এক শ’ শতাংশের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব

শুক্রবার

১১ জুলাই ২০২৫


২৭ আষাঢ় ১৪৩২,

১৫ মুহররম ১৪৪৭

গ্যাসের দাম আবাসিকে এক শ’ শতাংশের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ১৮ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৯:২২, ১৮ জানুয়ারি ২০২২
গ্যাসের দাম আবাসিকে এক শ’ শতাংশের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব

ইনফোগ্রাফ বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ

ঢাকা (১৮ জানুয়ারি): গ্যাসের দাম এক শ’ শতাংশের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বিতরণ কোম্পানি বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। প্রস্তাবনায়, আবাসিকে সিঙ্গেল বা একচুলা ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা এবং দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) এই প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। 

বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বৃহত্তর নোয়াখালী কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলায় গ্যাস বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে। অন্যান্য কোম্পানিগুলোকেও অভিন্ন প্রস্তাব জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে পেট্রোবাংলা। আজকালের মধ্যে অন্যান্য কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব বিইআরসিতে জমা পড়বে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

এর আগে, গত ১০ জানুয়ারি পেট্রোবাংলার আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য লিখিত প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাবে পেট্রোবাংলা উল্লেখ করে, রাষ্ট্রীয় অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্স ও সিলেট গ্যাস ফিল্ডের গ্যাসের ঘনমিটার প্রতি গড় ক্রয়মূল্য ১.২৬ টাকা, শেভরনের থেকে কিনতে হচ্ছে ২.৮৯ টাকা, তাল্লো থেকে ৩.১০ টাকা করে।

অন্যদিকে, এলএনজির প্রকৃত ক্রয়মূল্য ৩৬.৬৯ টাকা অন্যান্য চার্জ দিয়ে ৫০.৩৮ টাকা পড়ছে। দৈনিক ৮৫০ মিলিয়ন ঘন ফুট এলএনজি আমদানি বিবেচনায় এই দর। আমদানিকৃত এলএনজির সঙ্গে দেশীয় গ্যাসের মিশ্রণ শেষে গড় খরচ দাঁড়াবে ৬৫ হাজার ২২৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এই টাকা ভোক্তাদের কাছ থেকে তুলতে হলে ঘনমিটার প্রতি বাড়তি গড় ২০.৩৫ টাকা করা নির্ধারণ করা জরুরি। এই দর দৈনিক ৮৫০ এমএমসিএফ এলএনজি আমদানি বিবেচনায়। আমদানির পরিমাণ বাড়তে থাকলে গড়মূল্য একই হারে বেড়ে যাবে।

বাখরাবাদ কোম্পানি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে আবাসিকে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের প্রতি ঘনমিটারের বর্তমান মূল্য ১২.৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭.৩৭ টাকা, সিএনজি প্রতি ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৬.০৪ টাকা, হোটেল-রেস্টুরেন্টে ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৯.৯৭ টাকা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১৭.০৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৭.০২ টাকা, ১০.৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩.২৪ টাকা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩.৮৫ টাকা থেকে ৩০.০৯ টাকা, চা শিল্পে ১০.৭০ টাকা বাড়িয়ে ২৩.২৪ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

অন্যদিকে, বিদ্যুৎ ও সার কারখানায় থাকা বিদ্যমান দর ৪.৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯.৬৬ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রতি ঘনমিটার এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি মূল্য ৩৬.৬৯ টাকা, মুসক, অগ্রিম আয়কর, ফিন্যান্সিং চার্জ, ব্যাংক চার্জ ও কমিশন, রি-গ্যাসিফিকেশন চার্জ, অপরেশনার ব্যয়, ভোক্তা পর্যায়ে উৎসে কর সবমিলিয়ে খরচ দাঁড়াচ্ছে ৫০.৩৮ টাকা। যে কারণে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের দাম ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়ানো প্রয়োজন।

এর আগে, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন জমা দেয়। তবে সেগুলোও যথাযথ না হওয়ায় ফেরত দিয়েছে কমিশন। কমিশন বলেছে, আবেদনের সঙ্গে যৌক্তিকতা প্রমাণের জন্য যথাযথ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কোম্পানিগুলো বিষয়টি এড়িয়ে দায়সারা গোছের আবেদন দিয়েছিল।

ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের এই দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম।

তিনি বলেন, সরকার যেনতেনভাবে গ্যাসের দাম বাড়াতে চায়। এই বাড়তি দায় জনগনের ঘাড়ে চাপাতে নানা প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অতীতে কখনই এত বেশি পরিমাণে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়নি। 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়