সংকট দেখিয়ে চিনির আরেকদফা মূল্যবৃদ্ধি
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা (২৫ সেপ্টেম্বর): মগবাজার থেকে কারওয়ানবাজারে বাজার করতে এসেছেন মো. সালাউদ্দিন। পাইকারি খুচরা মিলিয়ে বেশ কয়েক দোকান ঘুরেও খোলা চিনি কিনতে পারেননি তিনি। অবশেষে হতাশ হয়ে তিনি ১ কেজি প্যাকেট চিনি কিনেছেন ৮৫ টাকা দিয়ে।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে এই প্রতিবেদকের সামনে এ চিত্র ধরা পড়ে।
রাজধানীর বাজারে দফায় দফায় চিনির দাম বৃদ্ধির পরে অবশেষে দেখা দিয়েছে চিনির ‘সংকট’। রাজধানীর অন্যতম প্রধান পাইকারি ও খুচরা বাজার কারওয়ানবাজারে কোথাও খোলা চিনির সরবরাহ নেই। এদিকে, অভিযোগ উঠেছে চিনির আরেকদফা মূল্যবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে এই কৃত্রিম সংকট।
চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে চিনির দাম ধাপে ধাপে বেড়েই চলেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পুনরায় দাম বেড়ে, খোলা চিনি কেজিপ্রতি ৭৮ টাকা থেকে ৮০ টাকায় উঠেছে। লাল চিনি ৮৫ টাকা থেকে হয়েছে ৯০ টাকা। আর বাজারভেদে প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে সরবরাহ না থাকায় পাইকারি ও খুচরা কোনো বাজারেই খোলা চিনি নেই, সংকট দেখা দিয়েছে লাল চিনিরও। বাজারে শুধুমাত্র প্যাকেটজাত ফ্রেশ চিনি রয়েছে তারও সংকটের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, চিনির দাম বাড়ায় পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ‘মায়ের দোয়া স্টোর’-এর মালিক মোহাম্মদ বাবুল বলেন, ‘বাজারে খোলা চিনি নাই, লাল, সাদা কোনো প্রকারের চিনি নাই। শুধু মাত্র ফ্রেশের প্যাকেট চিনি আছে।’
কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিল মালিকরা চিনি ছাড়ছে না। খোলা চিনির সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
কারওয়ানবাজারের অন্যতম পাইকারি ডিলার ‘পঞ্চগর সুগার হাউজ’-এর মালিক, মো. মালেক খান বলেন, ‘আমরা চিনি সংকট তৈরি করি না, আমরা যদি মিলার আর কোম্পানির কাছ থেকে না আনতে পারি তবে বাজারে কীভাবে দিব?’
সিটি গ্রুপের করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহার কাছে চিনির সঙ্কটের কারণ জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বলেন, ‘প্যাকেট চিনির পর্যাপ্ত মজুত আছে, কিন্তু খোলা চিনির সরবরাহ বন্ধ আছে।’
কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিল মালিকদের ব্যাপার, আমরা এই বিষয়ে জানি না।