Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
৬৭ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক

শুক্রবার

২০ জুন ২০২৫


৬ আষাঢ় ১৪৩২,

২৩ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

৬৭ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১  
৬৭ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (২৩ সেপ্টেম্বর): ব্যাংকিং ও নন ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্ত করে প্রায় ৬৭ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার কায়সারের নেতৃত্বে একটি দল গ্রামীন ব্যাংকে ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ তদন্তে গ্রামীন ব্যাংকের এই অনিয়ম বেরিয়ে আসে।

বৃহস্পতিবার ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় এ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে, ভ্যাট আইন অনুযায়ী নিবন্ধন গ্রহণ না করে ভ্যাটযোগ্য সেবা প্রদান করায় আরেকটি অনিয়ম মামলা দায়ের করেছে রাজস্ব বিভাগের ভ্যাট গোয়েন্দারা।

ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সেবার কোড এস ০৫৬ এর আওতায় ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু ভ্যাট আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি এখনো নিবন্ধন গ্রহণ করেনি। মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ অনুযায়ী করযোগ্য পণ্যের সরবরাহকারী বা করযোগ্য সেবা প্রদানকারীকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধন গ্রহণ করা বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

গ্রামীণ ব্যাংক মূলতঃ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কিস্তি সুবিধায় ঋণ দিয়ে থাকে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে প্রদত্ত এসব ঋণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন খরচের বিপরীতে চার্জ, ফি ও কমিশনের বিনিময় বিভিন্ন সেবা প্রদান করে থাকে যার উপর ১৫% হারে ভ্যাট প্রযোজ্য এবং করযোগ্য সেবা প্রদান করায় তাদের নিবন্ধন গ্রহণ বাধ্যতামূলক। এছাড়া ভ্যাট বিধিমালা ১৯৯১ অনুযায়ী আলোচ্য প্রতিষ্ঠানটি উৎসে কর কর্তনকারী সত্ত্বা এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন খরচের বিপরীতে উৎসে ভ্যাট কর্তনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, তদন্তকালে প্রতিষ্ঠানটি সি.এ. ফার্ম প্রত্যায়িত বার্ষিক অডিট প্রতিবেদন এবং প্রতিষ্ঠানের দাখিলকরা অন্যান্য দলিলাদি আড়াআড়ি যাচাই/ পর্যালোচনা করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া তদন্ত চলাকালীন প্রতিষ্ঠানের একাধিকবার আত্মপক্ষ সমর্থনে বিভিন্ন তথ্যাদি ও বক্তব্য আমলে নেয়া হয়েছে।

এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি তদন্ত মেয়াদে প্রদত্ত বিভিন্ন সেবা হতে প্রাপ্ত আয়ের বিপরীতে ৩৪,৯১০ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেছে। কিন্তু এর প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ৩০,৩৬,৮৩,৬০০ টাকা। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ৩০,৩৬,৪৮,৬৯০ টাকা উৎঘাটন করা হয়। ভ্যাটযোগ্য প্রদত্ত সেবা হতে প্রাপ্ত আয়ের বিপরীতে এই অপরিশোধিত ভ্যাটের উপর ভ্যাট আইন অনুসারে ডিসেম্বর/২০১৬ পর্যন্ত ২% হারে ১৩,৯৯,৯৫,৭০৬ টাকা সুদ প্রযোজ্য হবে।

এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি তদন্ত মেয়াদে বিভিন্ন খরচের বিপরীতে উৎসে ভ্যাট বাবদ ৮,৫৪,২০,৮১৯ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেছে। কিন্তু তদন্ত মেয়াদে প্রতিষ্ঠানের উৎসে কর্তন বাবদ প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ২৩,৯৩,১০,০৭৪ টাকা। এতে অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ১৫,৩৮,৮৯,২৫৬ টাকা উদঘাটন করা হয়। এই অপরিশোধিত ভ্যাটের উপর ডিসেম্বর/২০১৬ পর্যন্ত মাসিক ২% হারে ৭,২৩,২৬,৯৭৭ টাকা সুদ প্রযোজ্য হবে।

বর্ণিত মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির সর্বমোট অপরিশোধিত ভ্যাটের পরিমাণ ৪৫,৭৫,৩৭,৯৪৬ টাকা এবং সুদ বাবদ ২১,২৩,২২,৬৮৩ টাকাসহ সর্বমোট ৬৬,৯৮,৬০,৬২৯ টাকা ভ্যাট পরিহারের তথ্য উদঘাটিত হয়। এই টাকা সরকারি কোষাগারে রাজস্ব হিসেবে আদায়যোগ্য।

উদঘাটিত পরিহারকৃত রাজস্ব আদায়ের আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে তদন্ত প্রতিবেদন ও অনিয়ম মামলা সংশ্লিষ্ট ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যাতে প্রতি মাসের সব আয় ও ক্রয় এর তথ্য অনুযায়ী প্রযোজ্য ভ্যাট পরিশোধ করে তা মনিটরিং করার জন্যও সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারকে অনুরোধ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, গ্রামীন ব্যাংককে অতি সত্ত্বর ভ্যাট নিবন্ধন করার জন্য এবং তাদের মাসিক রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়