রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পাবে ৩৮ পণ্য
চা, বাইসাইকেল, এমএস স্টিল ও সিমেন্ট শিট ৪ শতাংশ প্রণোদনা পাবে
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

বাংলাদেশ ব্যাংক (ফাইল ফটো)
ঢাকা (২০ সেপ্টেম্বর): ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বস্ত্রখাতের ৫টি উপখাতসহ ৩৮টি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পাবে। গত অর্থবছরের মতো এবারও এক শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা থাকছে।
এরমধ্যে নতুভাবে যুক্ত ৪টি খাতে ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। এই খাতগুলো হল, দেশে উৎপাদিত চা, বাইসাইকেল ও এর পার্টস, এমএস স্টিল পণ্য এবং সিমেন্ট শিট।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত সার্কুলারে এতথ্য জানানো হয়।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, এবার বিশেষায়িত অঞ্চলের (বেজা, বেপজা ও হাইটেক পার্ক) বিদ্যমান সহায়তার আওতা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান সুবিধা ছাড়াও বিশেষায়িত অঞ্চলের ‘এ’ টাইপ ও ‘বি’ টাইপ প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানির বিপরীতে ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রযোজ্য করা হয়েছে। বিশেষায়িত অঞ্চলের সকল ক্যাটাগরিভুক্ত প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরে অন্যান্য পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এক শতাংশ হারে রপ্তানি প্রনোদনা সহায়তা পাবে।
চলতি অর্থবছরে ব্যক্তি পর্যায়ের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এইক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদিত সংশ্লিষ্ট রফতানীকারক এসোসিয়েশন ব্যাক্তি পর্যায়ের ফ্রিল্যান্সারদেও রপ্তানি ভর্তুকি প্রত্যায়ন করবে।
এছাড়া ফ্লোট গ্লাস শিট, ওপাল গ্লাসওয়্যার, কাস্ট আয়রন ও অ্যালুমিনিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, হালকা প্রকৌশল পণ্য খাতের আওতায় রপ্তানি ভর্তুকির জন্য বিবেচিত হবে। পাশাপাশি উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন পণ্য (কম্প্রেসার) এবং এইচসিএফসিমুক্ত রেফ্রিজারেটর ইলেক্ট্রনিক পণ্য হিসেবে কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স খাতের আওতায় রপ্তানি ভতুর্কি প্রাপ্য হবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, প্রযোজ্য সকল খাতে নগদ সহায়তা/রপ্তানি ভর্তুকি/প্রণোদনা সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রপ্তানির বিপরীতে নূনতম ৩০ শতাংশ দেশীয় মুল্য সংযোজন থাকতে হবে।