Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
ইভ্যালির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান নাসরিন গ্রেপ্তার

বৃহস্পতিবার

১৯ জুন ২০২৫


৫ আষাঢ় ১৪৩২,

২২ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ইভ্যালির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান নাসরিন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ০১:০৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইভ্যালির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান নাসরিন গ্রেপ্তার

ইভ্যালির সিইও রাসেলে ও চেয়ারম্যান শামীমাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে, বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ

ঢাকা (১৬ সেপ্টেম্বর): ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার মোহাম্মদপুরে রাসেলের বাসায় ঘন্টাখানেক অভিযান চালানোর পর তাদের দুজনকে র‌্যাবের গাড়িতে তুলে র‌্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান খায়রুল ইসলাম বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তাদের র‌্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যে মামলা হয়েছে, তাতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে গুলশান থানায় রাসেল ও নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক ভুক্তভোগী গ্রাহক। মামলায় পণ্য কেনার জন্য অর্ডার করে নির্ধারিত অঙ্কের টাকা জমা দিয়েও পণ্য না পেয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনেন তিনি।

মামলায় বাদীর অভিযোগ করেন, গত ২৯ মে ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখে তিনি ও তার বন্ধুরা কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। ২৯ মে থেকে ১৯ জুনের মধ্যে ছয়টি অর্ডারের বিপরীতে মোট ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা পরিশোধ করেন।

এজহারে বলা হয়, পণ্যগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্য দিবসের মধ্যে ডেলিভারি দেবে এবং নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হলে উক্ত প্রতিষ্ঠান সব টাকা ফেরত প্রদানে অঙ্গিকারবদ্ধ ছিল।

কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্যগুলো না পাওয়ায় আমি বহুবার ইভ্যালির কাষ্টমার কেয়ার এর প্রতিনিধির ফোন নম্বরে ফোন করি। সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ করেও আমার অর্ডার করা পণ্যগুলো পাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। প্রতিবার তারা আমার পণ্যগুলো দিয়ে দিচ্ছে বলে আশ্বস্থ করে যাচ্ছিল।

এজাহারে বাদী বলেছেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর আরিফ ও তার দুই বন্ধু ইভ্যালির অফিসে যান। সিইও রাসেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে বাধা পেয়ে ফিরে আসেন। পরদিন তারা আবার যান ইভ্যালি অফিসে। অফিস প্রতিনিধিরা আরিফ ও তার বন্ধুদের সঙ্গে চিৎকার চেঁচামেচি করেন। এসব শুনে ভেতর থেকে সিইও রাসেল বেরিয়ে আসেন এবং তিনি হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান।

এখানে উল্লেখ্য, ইভ্যালির বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে গত মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করে ই-কমার্স বিষয়ক জাতীয় কমিটি। বৈঠকে ইভ্যালির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

ডিজিটাল ই-কমার্স সেলের প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান বলেছিলেন, ইভ্যালি ইস্যুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আর সময় নিতে চায় না। এ বিষয়ে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়া হবে।

গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) নাসরিন ও রাসেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয়। পরে ১৩ আগস্ট ইভ্যালিকে চিঠি দিয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানির সম্পদ ও দায়ের বিবরণ, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালির দেনার বিবরণ জানতে চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

তবে সময় চেয়ে আবেদন করে ইভ্যালি। তবে সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ২৬ আগস্ট দেওয়া হিসেবে ইভ্যালি জানিয়েছিল, গ্রাহকরা তাদের কাছে ৩১১ কোটি টাকা পাবেন।

গ্রাহকের পাওনার সমপরিমাণ টাকা পণ্য কেনার জন্য অগ্রিম মূল্য বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। এর আগে ১৯ আগস্ট ইভ্যালি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের এই দায় ও সম্পদের তথ্য দেয়।

ওই সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি বলেছিলেন,  ইভ্যালির দেনার পরিমাণ ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। হাফিজুর রহমান আরও বলেন, ইভ্যালি তাদের সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছে ১০৫ কোটি।

কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু দেখিয়েছে ৪২২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সেভাবেই তারা তাদের ব্যালেন্স শিট মিলিয়েছে। জানা গেছে, ইভ্যালির ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার দেনার বিপরীতে ব্র্যান্ড ভ্যালু দেখানো হয়েছে ৪২২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর অদৃশ্য সম্পদ দেখানো হয় ১৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং দৃশ্যমান সম্পদের হিসাব দেখানো হয়েছে ১০৫ কোটি ৫৪ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪০ টাকা।
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়