এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব গ্রেফতার
ধর্মকে ব্যবহার করে ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব হাসান ও তার সহযোগীকে র্যাব গ্রেফতার করেছে
ঢাকা (১০ সেপ্টেম্বর): মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে প্রতারণা করত এহসান গ্রুপ। এভাবে তাদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। এ অভিযোগে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীর আহসান (৪১) ও তার সহযোগী আবুল বাশারকে (৩৭) গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ভাউচার বই, মোবাইল ফোনসহ কিছু নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ শুক্রবার বিকেলে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাব জানায়, রাগীব মূলত ধর্মীয় আবেগ অনুভূতিকে ব্যবহার করে এই এমএলএম কোম্পানির ফাঁদ তৈরি করে। প্রতারণার জন্য তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে বেছে নিতেন। তিনি ‘শরিয়ত-সম্মত সুদবিহীন বিনিয়োগ’-এর বিষয়টি ব্যাপক প্রচারণা করে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করেন।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে তোপখানা রোড এলাকা থেকে রাগীব ও তার সহযোগী তার ছোট ভাই আবুল বাশারকে আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, ২০০৮ সালে এমএলএম কোম্পানি শুরু করে ওই বছরেই ১০ হাজার গ্রাহককে যুক্ত করতে সমর্থ হন প্রতারক রাগীব। এবং বর্তমানে তার গ্রাহক সংখ্যা লক্ষাধিক।
গ্রাহকের টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় না করে রাগীব আহসান নিজ ও আত্মীয়স্বজনের নামে জমি ক্রয় করেন। সেসব জমির ৯০ শতাংশ গোপনে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। বিভিন্ন নামে এহসান গ্রুপের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের ১৬টিরই কোনো অস্তিত্ব নেই।
রাগিব আহসান ২০০০ সালে খুলনার একটি মাদ্রাসা থেকে মুফতি হন। পরবর্তীকালে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মাদ্রাসায় ইমামতি করেন। পাশাপাশি ২০০৭ পর্যন্ত একটি এমএলএম কোম্পানিতে চাকরিও করেন। ২০০৮ সালে এহসান মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করেন নিজেই।
র্যাব জানায়, ২০১৮ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না। এরইমধ্যে ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর আগে প্রতারণার কারণে রাগিব ২০১৯ সালে কারাভোগ করেন।