মাতৃদুগ্ধ পানের সচেতনতায় হরলিক্স মাদারস প্লাস
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: ইউসিএল
ঢাকা (০৮ সেপ্টেম্বর): নবজাতকের জন্য মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা এবং দুগ্ধদানকারী মায়ের সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে করেছে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড (ইউসিএল) এর অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘হরলিক্স মাদারস প্লাস’।
এ বছর ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২১’-এর প্রতিপাদ্য ছিল: ‘মাতৃদুগ্ধদান সুরক্ষায়: সকলের সম্মিলিত দায়’ (প্রটেক্ট ব্রেস্টফিডিং: এ শেয়ারড রেসপনসিবিলিটি)। এই প্রতিপাদ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে ‘মাতৃদুগ্ধ পানে গড়ি সহায়ক পরিবেশ’ স্লোগানে মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে ‘হরলিক্স মাদার’স প্লাস’।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছিল বিভিন্ন জন-সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান এবং ওয়েবিনারের আয়োজন। পাশাপাশি দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ডাক্তারী পরামর্শ গ্রহণের ব্যবস্থাও ছিল। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সচেতনতা ও দিক-নির্দেশনামূলক একাধিক ডিজিটাল ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, যেগুলোতে চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সহ সমাজে ইতিবাচক প্রভাববিস্তারকারী ব্যক্তিবর্গ অংশ নিয়েছেন।
অন্তঃসত্ত্বা এবং স্তন্যদাত্রী মায়েদের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত ‘হরলিক্স মাদারস প্লাস’ বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত একটি পুষ্টিমান সম্পন্ন পানীয়। তাদের জন্য পুষ্টিখাদ্য প্রস্তুতকারী দেশের অন্যতম শীর্ষ এই পুষ্টিপণ্যের ব্র্যান্ডটি মায়ের দুধের উপকারিতা সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সরকারের সহায়ক হিসেবে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করেছে।
মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ইউসিএল বিভিন্ন গণমাধ্যমে চারটি সেমিনারেরও আয়োজন করে। এসব সেমিনারে স্বনামধন্য পুষ্টিবিদ ও অংশগ্রহণকারীরা মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুদের মাতৃদুগ্ধপান এবং স্তন্যদাত্রী মায়েদের সহযোগিতায় বাবা ও সমাজের দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন।
এছাড়া, আয়োজিত ওয়েবিনারে অংশ নেন দেশের শীর্ষ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা গর্ভধারণকালীন সময়ের বিভিন্ন বাধা সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া স্তন্যদাত্রী মায়েদের পাশে থাকার স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশের ‘সবুজ জাতি’এর স্বীকৃতি ধরে রাখার জন্য তারা আরো সচেতনতা ও জ্ঞানের প্রসারে জোর দেন।
প্রসঙ্গত, স্তন্যদাত্রী মায়েদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। ৯৮টি দেশের মধ্যে মাত্র দুটি দেশ এই গৌরব অর্জন করেছে।