চিনি ও খাসির দাম বৃদ্ধি
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
বাজরে চিনি ও খাসির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে
ঢাকা (২৭মার্চ): ঈদকে সামনে রেখে চিনির দাম প্রকারভেদে বেড়েছে ৫ থেকে ২০ টাকা। খাসির মাংস কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা। তবে, কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এদিকে, সবজি ও রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যদির মূল্য মোটামুটি স্থিতিশীল অবস্থানে পৌঁছেছে।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের সেমাই চিনি কেনাকাটার আগেই বেড়েছে চিনির দাম। প্রতি কেজি খোলা চিনিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা। আর প্যাকেটজাত সাদা চিনি কেজি প্রতি ৮ টাকা বেড়ে ৭৮ টাকা এবং লাল চিনি ২০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৯০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সবজি ও মুরগির দামে মোটামুটি স্বস্তি ফিরেছে। এ ছাড়া, প্রায় সবধরনের সবজির দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে রয়েছে। তবে নতুন সবজির মধ্যে ফুলকপি, বরবটি, কচুর মুখির, কাকরোল, চিচিঙ্গার দাম বেশ চড়া। কেজি প্রতি ৭০ থেকে থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
চিনির দাম বাড়ার বিষয়ে মুদি দোকানীরা জানান, ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। তবে সামনে কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় সবধরনের সবজির দাম কমলেও কেজি প্রতি ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। রমজানকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধি হওয়া বেগুন কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, শসা কেজি প্রতি ৮০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। লেবু আকারভেদে হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া বাজারে আসা নতুন ফুলকপি প্রতি পিস ৮০ টাকা, বরবটি প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাকরোলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা এবং কচুর মুখি কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দ্বিতীয় দফায় দাম কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ব্রয়লার ১৫৫ টাকা কেজি বিক্রি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আর সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৬০ টাকা, যা ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে আলু, পেয়াজ, তেল, চাল ও ছোলা, বুটের দাম। আলু কেজি প্রতি ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১১৫ টাকা, বোতল ১৩৫ টাকা, পামওয়েল ১০৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া পাইকারি বাজারসহ খোলা বাজারে সব ধরনের চালের দাম আগের মতোই রয়েছে। মিনিকেট কেজির প্রতি ৬৪ টাকা, আটাশ ৫৪ টাকা এবং মোটা চাল ৪৮ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।






















