ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১১ মামলা
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
ঢাকা (১৫ এপ্রিল): সর্বাত্মক লকডাউনের আওতায় আরোপিত বিধিনিষেধ শর্তাবলি তদারকিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডিএসসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের (আনিক) পাশাপাশি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসব ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন।
বৃহস্পতিবার চালানো এসব অভিযানে সরকারি বিধিনিষেধ ভঙ্গ ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এবং অনুমোদনবিহীন দোকান খোলা রাখায় মোট ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এর আনিক মেরিনা নাজনিন বেইলী রোড, মগবাজার, হাতিরপুল ও নিউ মার্কেট এলাকায়, অঞ্চল-২ এর আনিক সুয়ে মেন জো তত্ত্বাবধানে শাহজাহানপুর বাজার, মতিঝিল কলোনী বাজার, শান্তিনগর বাজার এলাকায়, অঞ্চল-৩ এর আনিক বাবর আলী মীর ২৬ নং ওয়ার্ডের পলাশী মোড় কাঁচাবাজার ও ৫৫ নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ এলাকায়, অঞ্চল-৪ এর আনিক মো. হায়দর আলী ৩২, ৩৪, ৪২ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুবাজার, কাপ্তানবাজার, ধোলাইখাল, বাহাদুর শাহ পার্ক ও লালকুটি এলাকায়, অঞ্চল-৫ এর আনিক মো. শাহীনুর আলম ৭ নং ওয়ার্ডের মানিকনগর বাজার ও ৪৪ নং ওয়ার্ডের সূত্রাপুর বাজার, অঞ্চল -৬ এর আনিক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার ৭০নং ওয়ার্ডের টুলটুলিয়া বাজার ও ধীৎতপুর বাজার, অঞ্চল -১০ এর আনিক মোহাম্মদ মামুন মিয়া ৫৮ নং, ৬০ নং ও ৬১ নং ওয়ার্ডের শ্যামপুর ও দনিয়া এলাকাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এছাড়াও ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত খিলগাও ও সিপাহীবাগ বাজারসহ অঞ্চল ২ এর অন্যান্য বাজার ও দোকানপাট পরিদর্শন করেন। এ সময় সরকারী বিধিনিষেধ ভঙ্গ করায় আদালত ৫টি মামলা দায়ের ও নগদ ৮ হাজার ৩ শত টাকা জরিমানা আদায় করেন।
করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবীর ত্রপা অঞ্চল-৩ এর পলাশী বাজারসহ আরও করেন এবং সরকারি বিধিনিষেধ মেনে না চলায় ২টি মামলার মাধ্যমে ১ হাজার ২ শত টাকা জরিমানা আদায় করেন।
কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ অঞ্চল ০৫, ০৯ ও ১০ এর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় আদালত সরকারের আদেশ না মেনে দোকান খোলা রাখা, মাস্ক না পরে জনসমাগমস্থলে ঘুরে বেড়ানোর অপরাধে ৪টি মামলা দায়ের করেন এবং ৫ হাজার ৯ শত টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।