ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভীড়, টাকা উত্তোলনের হিড়িক
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: লকডাউনের আগে টাকা তুলতে ব্যাংকের ভেতরে গ্রাহকদের ভীড়, বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা (১৩ এপ্রিল): করোনাভাইরাসে সংক্রমণ হার বেড়ে যাওয়ার কারণে আগামীকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় বন্ধ থাকবে ব্যাংক। ফলে লকডাউনে বন্ধের আগের দিন টাকা উত্তোলনের হিড়িক পড়েছে ব্যাংকগুলোতে। ব্যাংকের শাখাগুলোয় টাকা জমা কিংবা ইউটিলিটি বিল পরিশোধের তুলনায় উত্তোলন হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড় ছিলো। বেশির ভাগ ব্যাংকেই বাইরে গ্রাহকের লম্বা লাইন দেখা গেছে। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানালেন,টানা ৮ দিন বন্ধ থাকবে। গ্রাহকের চাপ রয়েছে, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে বলে বাইরে গ্রাহকের লাইনটা বড় হচ্ছে।
মতিঝিলে সব কটি ব্যাংকের সামনেই সকালে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে থেকেই ছিল লম্বা লাইন। সকাল ১০টার দিকে কয়েকজন গ্রাহকের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, দেড় ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে গ্রাহকদের বেশির ভাগের মুখে মাস্ক পরতে দেখা গেছে।
একই অবস্থা দেখা গেছে এটিএম বুথগুলোতেও। সেখানেও স্বাভাবিক সময়ে তুলনায় বেশি গ্রাহকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে শাখার চেয়ে তুলনামূলক এটিএম বুথগুলোতেই বেশি স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। একসঙ্গে একাধিক গ্রাহককে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বুথ বা ফাস্ট ট্র্যাকে। ঢোকার সময় হাত-পায়ে দেওয়া হচ্ছে জীবানুণাশক।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ ব্যাংক লেনদেন শুরুতেই গ্রাহকের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ব্যাংকে প্রবেশ করতে চাচ্ছেন। তবে মাস্কবিহীন ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ ছাড়া কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
একাধিক গ্রাহক জানান, বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন হচ্ছে। নিজেদের স্বাস্থ্য ও নিত্যপণ্যের কথা মাথায় রেখে নগদ টাকা হাতে রাখা চাই।