কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

মতবিনিময় সভায় কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক
ঢাকা (১১ এপ্রিল): কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষিপণ্য রপ্তানিকে আরও ত্বরান্বিত ও ফলপ্রসূ করতে রপ্তানিতে যে সকল বাধা ও সমস্যা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে। মান নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব দ্রুত চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
শাকসবজি ও ফল রপ্তানীকারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে তিনি এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষিতে সরকারের এখন লক্ষ্য হল কৃষির প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করে কৃষিকে লাভজনক করা। এ জন্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি আরও বাড়াতে হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন ও উদ্যোক্তাদের আরও কীভাবে সহায়তা দেওয়া যায়, সেটা আমরা চিন্তা করছি। উৎপাদিত কৃষিপণ্য দেশীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে কীভাবে যেতে পারে, সরকার এর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। সে জন্য, যারা রপ্তানির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং মান উন্নয়নে কাজ করছে তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কৃষির গুরুত্ব অনেক বেশি। কৃষি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। একই সাথে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামালেরও যোগান দিয়ে থাকে। এ কাঁচামাল যোগান দিয়ে আমরা যে প্রক্রিয়াজাত পণ্য পাচ্ছি সেটা বিদেশে রপ্তানিরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এখনো আমাদের রপ্তানিটা বেশির ভাগ তৈরি পোশাকের মধ্যে সীমিত। প্রায় শতকরা ৮০-৮৪ ভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। তার সাথে সাথে কৃষি একটি সম্ভাবনাময় সেক্টর। আমরা যদি প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে পারি এবং নিরাপদ সবজি ও ফলের নিশ্চিয়তা দিতে পারি, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারেও কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে পারব। ’
সভায় বক্তাগণ কৃষিপণ্য রপ্তানিতে করণীয় বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন। ওই সভায় কৃষিমন্ত্রী বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মতামত ও অভিজ্ঞতার বিষয়টি শুনেন। তাদের সুপারিশমালা বিবেচেনায় নিয়ে মন্ত্রণালয় কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, এ জন্য সংস্থাগুলোর মধ্যে দ্রুত আরেকটি সভা করার জন্য মন্ত্রী পরামর্শ দেন।