লকডাউন ঘোষণায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: কাওরান বাজারে একটি স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর দোকান, বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা (০৫ এপ্রিল): পুনরায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সকল ধরণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর দাম বেড়েছে। সরকার দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণার একদিনের মাথায় মাস্ক, গ্লাভস,হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সুরক্ষা টুপির চাহিদা বেশি থাকায় এগুলোর দাম বেড়েছে। এছাড়া জীবাণুনাশক স্প্রে ও হ্যান্ডওয়াশের দাম আগের মতোই আছে।
রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন ওষুধের দোকান বা বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কাওরান বাজারের খুচরা মাস্ক বিক্রয়কারী আলতাফ আলী এই প্রতিবেদককে জানান, লকডাউনের ঘোষণার পরপরই পাইকারী পর্যায়ে সার্জিক্যাল মাস্কের ৫০টির বক্সের দাম মানভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ১২০ থেকে দেড়শ টাকা এবং একশ মাস্কের বক্সের দাম ২২০ থেকে ২৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, খুচরা পর্যায়ে আগে দুটি সার্জিক্যাল মাস্ক ১০টাকায় বিক্রি করতাম। এখন প্রতিটি ১০টাকায় বিক্রি করছি।
খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, লকডাউনের ঘোষণার পরই পাইকারি বাজারে মাস্কের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করে। এতে তারাও মাস্কের দাম বাড়াতে বাধ্য হন।
গ্রীণ রোডের তাসনিম ফার্মেসির বিক্রেতা জালাল আহমেদ জানান, লকডাউনের আগে ৩ লেয়ারের ইন্ডিয়ান ফেস মাস্কের বাক্স ১৫০ টাকায় কিনতাম, সেটা গতকাল ২২০ টাকায় কিনেছি। তবে স্যানিটাইজার আগের দামেই বিক্রি হলেও হ্যান্ড গ্লাভসের বিক্রি বাড়েনি বলে তিনি জানান।
ব্যবসায়ীরা জানান, লকডাউন ঘোষণার পরেই মাস্কসহ অন্যান্য সামগ্রীর দাম মুহূর্তের মধ্যে বেড়ে যায়। রবিবার অনেক ফার্মেসীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার সন্ধ্যার আগেই শেষ হয়ে গেছে।
এদিকে, বেশ কয়েকজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, লকডাউন ঘোষণার পরপরই মাস্ক দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর দামও বেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদারকি করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজে লাগাণৈার অনুরোধ করেন।