‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে’
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
ঢাকা (০১ এপ্রিল): নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে দেশটির সঙ্গে একটি কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সম্পাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্য আ. কা. ম. সরোয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সিইপিএ সম্পাদনের লক্ষ্যে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ (এসএএফটিএ) চুক্তির আওতায় ভারতে তামাক ও মদ জাতীয় পণ্য ব্যতীত সকল পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে।
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাবার পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন আঞ্চলিক জোট ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় ভারতে রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল রপ্তানিপণ্যের ভারতের বাজারে বিনাশুল্কে প্রবেশের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টার ফলে তামাক মদ ও মাদক জাতীয় ২৫টি পণ্য ব্যতীত বাংলাদেশের সকল পণ্য এসএএফটিএ আওতায় ভারতের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা লাভ সুবিধা লাভ করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে অশুল্ক বাধাসমূহ দূরীকরণের লক্ষ্যে দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী বাণিজ্য সচিব ও ওয়ার্কিং গ্রুপ পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে চারটি বর্ডার হাট স্থাপন ও কার্যকর করা হয়েছে এবং আরও ১২টি বর্ডার হাট স্থাপন প্রক্রিয়াধীন।
দেশ দুটির বাণিজ্যচিত্র তুলে ধরে টিপু মুনশি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৮ হাজার ৯৪৭ দশমিক ৭১ কোটি টাকা। এবং ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ২৯৫ দশমিক ১১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৬৫২ দশমিক ৬০ কোটি টাকা।
মন্ত্রী আরও জানান, পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারকে নিয়ে (বিসিআইএম) আঞ্চলিক বাণিজ্য জোট গঠন করা হয়েছে।