সোমবার

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫


৩১ ভাদ্র ১৪৩২,

২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

খাদ্যশস্যের মজুদ তলানিতে; ভারত থেকে কিনছে ৫০ হাজার টন চাল

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ৩১ মার্চ ২০২১  
খাদ্যশস্যের মজুদ তলানিতে; ভারত থেকে কিনছে ৫০ হাজার টন চাল

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (৩০ মার্চ): দেশে সরকারি পর্যায়ে খাদ্যশষ্যের মজুদ একেবারে তলানীতে এসে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় মজুদের ঘাটতি কমাতে ভারত থেকে আরো ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার। খাদ্য মন্ত্রনণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এতথ্য জানান। 

এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বিকজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ’কে বলেন,‘আমরা দেশের খাদ্য মজুদ বাড়ানোর জন্য সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিয়েছি।’

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, গত ২৮ মার্চ পর্যন্ত সরকারের কাছে খাদ্যশস্যের মজুদ রয়েছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার টন। এর মধ্যে চালের পরিমাণ চার লাখ ১৪ হাজার টন এবং গমের পরিমাণ ৭৪ হাজার টন। তবে বাংলাদেশের মতো দেশে জনসংখ্যা , চাহিদা বিবেচনায় কৌশলগত কারণে সর্বনিন্ম ১০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ থাকার কথা। 

ওই কর্মকর্তা জানান, সরকার খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি সুরক্ষা পর্যায়ে রাখতে  ভারত থেকে এক হাজার ১৭৬ কোটি ৩৬ লাক টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি চাল আমদানি করবে। কারণ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মজুদ পরিস্থিতি উন্নতি করতে চাল আমদানি করা এখন জরুরি।

তিনি জানান, চাল কেনার এই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা উত্থাপন করা হবে। 

জানা গেছে, ভারতের মেসার্স বাগদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড অফ ইন্ডিয়া এই চাল সরবরাহ করবে। যার মূল্য ধরনা হয়েছে টন প্রতি ৪১৬ মার্কিন ডলার। এর নিকটতম দরদাতা মের্সাস পিকে অ্যাগ্রিলিংক প্রাইভেট। লিমিটেড টন প্রতি ৪২৯ ডলার এবং কেআরবিএল লিমিটেড টন প্রতি ৪৩৪ মার্কিন ডলার। 
এদিকে, সরকার ইতিমধ্যে দুই লাখ ৬ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও সাড়ে ৬ লাখ টন চাল আমদানি করা হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, আমদানি করা চাল অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের কাছে এসে যাবে। আমরা খাদ্যশস্য নিরাপত্তা জোরদার করছি। কারণ ২০২০-২০১২ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র অর্জিত হয়নি। 

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সর্বশেষ দ্বিবার্ষিক প্রকাশনা ‘ফুড আউটলুক’ অনুসারে, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের গড় খাদ্যশস্য আমদানি নির্ভরতা ছিলো ৮ থেকে ১২ শতাংশ। ২০২০-২১ সালে বাংলাদেশ ৬.১ মিলিয়ন টন গম আমদানি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা গত দুই বছরের গড়ের তুলনায় তিন দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। 

ধানের তৃতীয় বৃহত্তম উৎপাদক বাংলাদেশ ধানের উৎপাদনে শূণ্য দশমিক ২ শতাংশ কমতে পারে।  

এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে দেশের খাদ্যশস্যের মজুদ কমে গিয়েছিলো। তখন সরকার ভারত, রাশিয়া এবং আর্জেন্টিনা থেকে চাল ও গম আমদানি করা হয়েছিলো। 
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়