শুক্রবার

০৭ নভেম্বর ২০২৫


২৩ কার্তিক ১৪৩২,

১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৫:২৬, ২১ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১৫:৫৯, ২১ আগস্ট ২০২৪
ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত

সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভেঙে দেয়া হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র বিতর্কিত পরিচালনা পর্ষদ। গঠন হবে স্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ। আজ বুধবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক এসব তথ্য জানিয়েছে। আজই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি হতে পারে।

জানা যায়, ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবেই ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেয়া হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক থেকে পাচার হওয়া টাকা এখন আদায় করা যাচ্ছে না, ফলে ব্যাংকটি তারল্যসংকটে ভুগছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকে চাহিদামতো তারল্য জমা রাখতে না পেরে ব্যাংকটি প্রতিদিন জরিমানা দিচ্ছে। আবার একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদ্য সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার নিজের বিশেষ ক্ষমতাবলে ‘টাকা ছাপিয়ে’ দেড় বছর ধরে ব্যাংকটিকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু ব্যাংকটির খারাপ অবস্থার দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

গত সপ্তাহে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছেন ব্যাংকটির শতাধিক কর্মকর্তা। চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্যাংকের তহবিল লুটপাটের যে তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও ভয়াবহ। দীর্ঘদিন লুটপাটের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যাংকটির প্রতি গণমানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য তারা দ্রুত পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবি জানান।

এতে আরও বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংকের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার, ব্যাংকের সব অংশীদারদের স্বার্থ রক্ষা, তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে হবে। এ ছাড়া সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত, ইসলামী ব্যাংকের প্রতি সহানুভূতিশীল বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অথবা প্রয়োজনে সাবেক পরিচালকদের থেকে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয় চিঠিতে।

২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির মালিকানা নেয়ার পর থেকে নামে-বেনামে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির শেয়ারের ৮২ শতাংশের মালিকানা রয়েছে এস আলমের হাতে। এরই মধ্যে এস আলমের শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিএসইসি।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়