Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
 ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ

রোববার

১৭ আগস্ট ২০২৫


২ ভাদ্র ১৪৩২,

২২ সফর ১৪৪৭

 ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৫:১৫, ৫ মে ২০২৪  
 ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ

সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ছে। প্রতিযোগিতামূলক দাম এবং নতুন নতুন বাজার তৈরি হওয়ার কারণে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। এ সময় ২০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।  

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আগের যেকোনো বছরের একই সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশবর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক পণ্যের বাজারের আকার ৬০০ বিলিয়ন ডলার। মূলত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ভারত ও নেপালে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করা হয় বাংলাদেশ থেকে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) গবেষণায় দেখা গেছে, নানা ধরনের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করলেও প্যাকেজিং পণ্যের বেশির ভাগই টেবিলওয়্যার ও কিচেনওয়্যার।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘গত অর্থবছরে এ খাত থেকে রপ্তানি আশাব্যঞ্জক ছিল না।
ধারণা করছি, পশ্চিমা অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় এ বছর আরো উন্নতি হবে।’ ডলারের বেশি দামের কারণে উৎপাদন খরচ প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় মুনাফা কমেছে বলে জানান তিনি।

বিপিজিএমইএর মতে, দেশে পলিওলেফিন উৎপাদন সুবিধা না থাকলেও বর্তমানে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১৪২টির বেশি পণ্য তৈরি করছে। বাংলাদেশ প্রধানত ফিল্ম প্লাস্টিক, গৃহস্থালি সামগ্রী ও গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ রপ্তানি করে।

এই খাতের ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এ বছর প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি ২৫ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে তৈরি প্লাস্টিক পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক দাম এ খাতের রপ্তানি বাড়াতে মূল ভূমিকা রেখেছে।

ডলার সংকট ও কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলার ক্ষেত্রে অসুবিধার মধ্যেও এই খাত রপ্তানি অব্যাহত রাখতে পেরেছে।

শামীম আহমেদ আরো বলেন, ‘দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিশ্বমানের প্লাস্টিক পণ্য তৈরি করছে। এটি বিদেশিদের বাংলাদেশ থেকে পণ্য কিনতে আগ্রহী করছে।
এ খাতের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাজার তৈরি হচ্ছে, যা আমাদের রপ্তানি সম্প্রসারণে সহায়ক হচ্ছে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্প মূলত একটা এসএমই খাত। তাই এ খাতের উদ্যোক্তারা বিদেশে প্রয়োজনীয় মার্কেটিং করতে পারছেন না। ঠিকঠাক মতো বিপণন করা গেলে রপ্তানি ১০০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিদেশে অবস্থিত মিশনের মাধ্যমে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন বাজার খুঁজতে সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শামীম আহমেদ বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের তুলনায় প্লাস্টিক খাতে করপোরেট ট্যাক্সসহ অন্যান্য করহার বেশি। তিনি মনে করেন, পোশাক খাতের মতো এই শিল্পে করহার কমালে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি আরো বাড়বে।

ইপিবির তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২০ কোটি ৯ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭ কোটি ডলার। এ সময় প্রবৃদ্ধি ১৭.৮৭ শতাংশ। আর এ বছর এই খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়