কোরআন অবমাননা: নোয়াখালীতে একজন নিহত

ঢাকা (১৫ অক্টোবর): নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় যতন কুমার সাহা নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসি।

কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে চৌমুহনীর 'তৌহিদী জনতা' এর ব্যানারে মিছিলকারীরা রাস্তায় নামলে পুলিশের বাধার মুখে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

নোয়াখালী পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করছিলেন।

স্থানীয়রা বলছেন জুমার নামাজের পর 'তৌহিদী জনতার' ব্যানারে সেখানে মিছিল শুরু হয় এবং মিছিলটি সেখানকার কলেজ রোডে একটি পূজামণ্ডপে হামলা করে। তবে ওই মণ্ডপের প্রতিমা সকালেই বিসর্জন হয়ে গেছে বলে তখন সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ছিলো না।

পরে মিছিলকারীরা ওই হিন্দুদের কিছু দোকানপাট ও বাড়ি ঘরে হামলা করতে শুরু করলে পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে শুরু করে।

হামলার সময় যতন কুমার সাহা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জেলার সহকারী পুলিশ সুপার শাহ ইমরান নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বেগমগঞ্জের ছয়ানি বাজার এলাকার একটি মণ্ডপে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া এখলাসপুরে আরও একটি মন্দিরের ভেতরে ঢুকে মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুন নাহার।

বুধবার কুমিল্লায় একটি পূজামণ্ডপে কোরআন পাওয়ার পর ওই ঘটনার জের ধরে কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বুধবার রাতে এ নিয়ে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে।