তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রাণ: তথ্যমন্ত্রী
গাইবান্ধা প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডক্টর হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
গাইবান্ধা (১৯ সেপ্টেম্বর) : তৃণমূলের নেতা-কর্মীদেরকে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ। এ সময় তিনি নির্বাচনে রাজনীতির অতিথি পাখিদেরকে ভোট না দিয়ে যারা জনগণের পাশে আছে ও থাকবে এমন ত্যাগী নেতাদেরকে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।
আজ রবিবার গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগদানের আগে সার্কিট হাউজে সুধী সমাবেশে এ আহ্বান জানান।
ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজকে গণমানুষের দল হিসেবে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে অনেক নেতা দ্বিধান্বিত হয়েছেন, অনেক নেতা ভুল করেছেন, অনেক নেতা দল ত্যাগ করে চলে গেছেন, কিন্তু কর্মীরা কখনো দ্বিধান্বিত হননি, কর্মীরা সব-সময় ঐক্যবদ্ধ ছিল। কর্মীরাই দলকে টিকিয়ে রেখেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন দলের অনেক নেতা দ্বিধান্বিত ছিলেন, অনেক নেতা ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন, অনেক নেতা আপস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিন্তু তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল বিধায় তাদের আন্দোলনে জননেত্রী মুক্তি লাভ করেছিলেন এবং সে কারণে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
]হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চাইবে কিন্তু ত্যাগী নেতা ছাড়া আওয়ামী লীগের নৌকায় কাউকে প্রয়োজন নাই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে ছিল তাদেরকেই মূল্যায়ন করা হবে। অন্যদলের অতিথি পাখিরা এখানে ভোট চাইতে আসবে, যখন ভোট চাইতে আসবে তখন বলতে হবে আপনারা অতিথি পাখির মতো এত দিন পরে কেন!
এ সময় তিনি বলেন, যারা জনগণের মাঝে আছে এবং থাকবে তাদেরকেই ভোট দিতে হবে এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ফের নেত্রীকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে আজ অনেক পরিবর্তন হয়েছে, ১৩ বছর আগের ভিডিও যদি মিলিয়ে দেখা যায়, তাহলে আজকে চেহারাগুলো অনেক সুন্দর দেখা যাবে। আগে ছেঁড়া কাপড় পরা, খালি পায়ে মানুষ দেখা যেত, এখন যায় না, কুঁড়েঘরও খুঁজে পাওয়া যায় না। এটি শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণেই হয়েছে।