Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
সিনহা হত্যা মামলার পঞ্চম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

বৃহস্পতিবার

১৫ মে ২০২৫


১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২,

১৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

সিনহা হত্যা মামলার পঞ্চম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

কক্সবাজার প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৮:০৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
সিনহা হত্যা মামলার পঞ্চম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।ফাইল ছবি

কক্সবাজার (০৭ সেপ্টেম্বর): টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার পঞ্চম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফার টানা চারদিনের তৃতীয় দিনে ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী হাফেজ মো. নূরুল আমীনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হচ্ছে। 

আজ মঙ্গলবার ১০টা ৫ মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।

অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, হাফেজ আমীনের সাক্ষ্যের গুরুত্ব অত্যধিক। কারণ হাফেজ আমীন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছিলেন। ফলে, সিনহার সফরসঙ্গী সিফাতের মতো তাঁর জবানবন্দি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আদালতের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বাপ্পী শর্মা জানান, অন্য দিনের মতো সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে মামলার আসামী সাবেক ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ ১৫ আসামীকে কারাগার হতে আদালতে আনা হয়। দ্বিতীয় দফার ৩য় দিনের জন্য হাফেজ মো. আমিন, 

পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা থাকে হাজির সবার সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন করার। তবে, আসামি পক্ষের আইনজীবীগণের অসহযোগিতাই সেটা সম্ভব হয়না। তারা সাক্ষীকে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে সময় নষ্ট করেন। আর ১৫ আসামীর ১৫ আইনজীবী আলাদাভাবে আধাঘন্টা করে জেরার সময় নিয়ে সাড়ে সাতঘন্টা সময় লাগে। জবানবন্দি নিতেও সময় লাগে ঘন্টা দেড়েক। এতে আদালতের কর্মঘন্টা ৯ ঘন্টা এবং মধ্যহ্ন বিরতিসহ দাঁড়ায় ১০ ঘন্টা। ফলে, একজনের বেশি সাক্ষ্যে আগানো সম্ভব হয়ে উঠছে না।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। 

চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম। কারান্তরীণ আসামিদের ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে ওসি প্রদীপ, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। 
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়