নবীনগর তিন শ’, গাবতলী পাঁচ শ’
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকামুখী যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে
মানিকগঞ্জ (২৫ এপ্রিল): দোকানপাট ও শপিংমল খোলার খবরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চের ২১ জেলার সাধারণ যাত্রীরা নিজ কর্মস্থল ঢাকাসহ অন্যান্য জায়গায় ফিরছেন। তবে, ঢাকামুখী যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চালকরা গাবতলীমুখী যাত্রীদের কাছ থেকে নিচ্ছে চার থেকে পাঁচ শ টাকা এবং নবীনগরমুখীদের কাছ নেওয়া নিচ্ছে তিন শ’টাকা। অবশ্য, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ঢাকামুখী তেমন যাত্রীর চাপ লক্ষ্ করা যায়নি।
রবিবার দুপুরে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে কয়েকটি জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক, ছোটগাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও ৬০ থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া ৪ নন্বর ফেরিঘাট পন্টুনে নৌঙর করে শাপলা শালুক নামের ফেরিটি।
দূরপাল্লার বাস ও গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এই ঢাকামুখী সাধারণ যাত্রীদেরকে। বাধ্য হয়েই তারা অতিরিক্ত টাকা ভাড়া দিয়ে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজিতে করে ঢাকাসহ অন্যান্য জায়গায় যাচ্ছেন। পাটুরিয়া থেকে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারে নবীনগর জনপ্রতি তিন শ’ টাকা, গাবতলী চার শ’ থেকে পাঁচ শ’ টাকা করে গুনতে হচ্ছে। গাদাগাদি করে প্রাইভেটকারে ছুটছেন তারা। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই লক্ষ্য করা যায়নি।
ঢাকামুখী যাত্রী আজিম হোসেন জানান, তিনি ঢাকায় একটি শপিংমলে চাকুরি করেন। লকডাউনের খবরে তিনি ১৩ এপ্রিল ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার গ্রামের বাড়ি চলে যান। আজ থেকে দেশের সকল শপিংমল খোলার খবরে ঢাকায় যাচ্ছেন। বাস বন্ধ থাকায় পাঁচ শ’ টাকা দিয়ে প্রাইভেটকারে করে ঢাকায় যাচ্ছেন তিনি।
আরেক যাত্রী আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমি ও আমার ভাই ঢাকার মিরপুর-১ নাম্বারে ভ্যানে কইরা শার্ট ও প্যান্ট বিক্রির ব্যবসা করি। হুনছি আইজ থ্যাইক্যা সব কিছুই সরকার খুইল্যা দিছে। তাই দুই ভাই রওনা হইছি ঢাকায় যাওনের লিগা। দুই-তিন গুণ টাকা বেশি খরচ কইরাই ঢাকায় যাইতাছে সবাই। সামনে ঈদ এহন যদি না যাই তাইলে ব্যবসা হইবো না। যদি আবার লকডাউন দেয় তাই আট শ’ টাকা দিয়া হোন্ডায় দুইভাই গাবতলী যামু।’
একাধিক প্রাইভেটকার চালকের সাথে কথা বলে জানা জায়, পাটুরিয়া থেকে গাবতলী পর্যন্ত প্রত্যেক যাত্রী কাছ থেকে ভাড়া বাবদ নেওয়া হচ্ছে চার শ’ থেকে পাঁচ শ’ টাকা। তাদের দাবি তারা প্রতিটি গাড়িতে যাত্রীই নিতে পারে মাত্র চার থেকে পাঁচজন।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ মেনে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন— অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে তিনটি ফেরি এ নৌপথে চলাচল করছে।
দোকানপাট ও শপিংমল খোলার খবরে ফেরিতে করে ঢাকামুখী কিছু যাত্রী পারাপার হচ্ছে। তবে মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জে ঘাটের মতো যাত্রীর ভিড় পাটুরিয়ায় পড়েনি বলে জানান তিনি।






















