সালথা উপজেলা পরিষদ-থানা ঘেরাও, এসিল্যান্ড অফিসে আগুন
ফরিদপুর প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুর (০৬ এপ্রিল): করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধিতে তা রোধে বিধিনিষেধ কার্যকর করতে ফরিদপুর জেলার সালথায় মানুষজনকে প্রহার করা হচ্ছে— এমন অভিযোগে স্থানীয়রা সোমবার রাত ১১টায় দিকে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ও সহকারী কমিশনারের গাড়িতে আগুন দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার দিকে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের মো. জাকির হোসেন মোল্লা ফুকরা বাজারে চা খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সেখানে সরকারি বিধিনিষেধ কার্যকারিতা পরিদর্শনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হীরামণি উপস্থিত হন। জাকির হোসেন মোল্লা অভিযোগ, তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক ব্যক্তি এসিল্যান্ডের গাড়ি থেকে নেমে তার কোমরে সজোরে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি আহত হন।
এদিকে ওই ঘটনার জেরে ফুকরা বাজারে পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার সংঘর্ষ বাধে। এ সময় তারা পুলিশের ওপরে হামলা করাতে এস আই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। এদিকে এ গুজবও ছড়ায় যে, পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছে। ফলে, স্থানীয় শত শত মানুষ থানা উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে বলেন, এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা খান হীরামণির কাছ থেকে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পুলিশ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের ওপরে হামলা হয়। হামলায় এস আই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়।
আহত জাকির হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে ভর্তি করা হয়েছে।