শনিবার

২০ এপ্রিল ২০২৪


৭ বৈশাখ ১৪৩১,

১১ শাওয়াল ১৪৪৫

২৫০ গ্রাম গরুর মাংস বিক্রি না করলে লাইসেন্স বাতিল: রসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২০:১৭, ১৬ মার্চ ২০২৩  
২৫০ গ্রাম গরুর মাংস বিক্রি না করলে লাইসেন্স বাতিল: রসিক মেয়র

ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদক: পহেলা রমজান থেকে ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী ২৫০ গ্রাম গরুর মাংস বিক্রি না করলে ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা নিজেই।

দেশের অন্যান্য জেলার মতো রংপুরেও আধা কেজির কমে গরুর মাংস বিক্রি হয় না। ফলে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ চাইলেও কিনতে পারছেন না মাংস। সন্তানদের আবদার পূরণ করতে অনেকেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে গরুর মাথা, কলিজা, ফুসফুস, ভুঁড়ি কিনে বাড়ি ফেরেন।

এসব দিক বিবেচনায় রেখে পবিত্র মাহে রমজানে রংপুর নগরীতে সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম মাংস বিক্রির ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রসিক মেয়র। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে রংপুরের মাংস ব্যবসায়ী ও নগরীর বিভিন্ন বাজার কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মেয়র মোস্তফা বলেন, ‘বর্তমানে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য মাছ-মাংস কেনা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের মতো গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে গরিব মানুষ যেমন খেতে পারছেন না, তেমনি তাদের শিশুদের মুখে এক টুকরা মাংসও তুলে দিতে পারছেন না। রমজান শুরু হওয়ার আগে নগরীর সব মাংস ব্যবসায়ীকে ডেকে মানুষের সাধ্য অনুযায়ী মাংস কেনাবেচার ব্যবস্থা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই সবার সঙ্গে কথা বলে কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম হলেও যেন মাংস বিক্রি করা হয়। ক্রেতা বা ভোক্তা যেন মাংস কিনতে এসে ফিরে না যান, সেই দিকটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। একজন ক্রেতা তার যতটুক প্রয়োজন, সেটাই কিনতে পারবেন। যেটা পাশের দেশ ভারতে রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা সেটা মানেন না বলেই অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ তার চাহিদা অনুযায়ী গরুর মাংস কিনতে পারছেন না। আমরা এবার সেই চেষ্টাটাই করব। এটা বাস্তবায়ন করতে সিটি করপোরেশনের মনিটরিং টিম মাঠে কাজ করবে। পাশাপাশি আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ প্রশাসনের সহায়তা চাই।’

‘কোনো ক্রেতা যদি ২৫০ গ্রাম মাংস কিনতে যান আর ব্যবসায়ী যদি তা বিক্রি না করেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই মাংস ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হবে,’ যোগ করেন মেয়র।

উল্লেখ্য, রংপুর নগরীতে ছোট-বড় ২২টি বাজার ছাড়াও পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে রয়েছে গরুর মাংস বিক্রির দোকান। প্রতিদিন এখানে অন্তত ১৫০ থেকে ২০০ গরু জবাই করা হয়। বর্তমানে গরুর মাংসের কেজি ৭২০ টাকা।

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়