Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, গৃহশিক্ষকসহ গ্রেফতার ৩

শুক্রবার

০৪ জুলাই ২০২৫


২০ আষাঢ় ১৪৩২,

০৮ মুহররম ১৪৪৭

নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, গৃহশিক্ষকসহ গ্রেফতার ৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৭:১০, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৭:১৯, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, গৃহশিক্ষকসহ গ্রেফতার ৩

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী (২৩ সেপ্টেম্বর): নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গৃহশিক্ষকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

আজ শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম এ তথ্য জানান। 

গ্রেফতারকৃতরা হল: নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে গৃহশিক্ষক আব্দুর রহিম রনি (২০), একই এলাকার অজি উল্লার ছেলে সাঈদ (২০) ও ইসরাফিল আলম (১৪)। 

জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আব্দুর রহিম রনির প্রাইভেট থেকে কিছুদিন আগে পড়া বন্ধ করে দিয়ে অন্যত্র প্রাইভেট পড়া শুরু করে অদিতা। এতে ক্ষিপ্ত হয় রনি, যদিও পরে অদিতাদের বাসায় বিভিন্ন সময় আসা যাওয়া করত সে। অদিতার মা ঘরে না থাকার সুযোগ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে কোনো এক সময় বাসায় গিয়ে অদিতাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও পরে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঘরে থাকা ছোরা দিয়ে হাত ও গলা কেটে অদিতাকে হত্যা করে। ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ঘরে আলমারিতে থাকা মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে। কিন্তু কোনো মূল্যবান জিনিস খোয়া যায়নি।

পুলিশ সুপার জানান, নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে ইসরাফিল, তার ভাই সাঈদ ও আব্দুর রহিম রনিকে গ্রেফতার করে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রনি জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, রনির মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের একাধিক স্থানে নখের আঁচড় রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আব্দুর রহিম রনি ও ইসরাফিল আলমকে আসামি হিসেবে ও সাঈদকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। 

পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেফতারকৃতদের গাড়িতে তোলার সময় বিক্ষুব্ধ মানুষজন রনির ওপর হামলা চালায়। এ সময় বিক্ষুদ্ধরা তাকে জুতাপেটা করে।  
এদিকে খুনিদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মুজিব চত্বরে সচেতন নোয়াখালীবাসীর ব্যানারে শত শত তরুণ, বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেন। 

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে নোয়াখালী জেলা শহরের নিজ বাসায় তাসনিয়া হোসেন অদিতাকে (১৪) গলা ও হাতের রগ কেটে হত্যা করা হয়। রাত ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত অদিতা নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন এবং নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর মহল্লার আবুল খায়ের পেশকার বাড়ির মরহুম রিয়াজ হোসেনের মেয়ে। অদিতার মা স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়