শনিবার

১১ মে ২০২৪


২৮ বৈশাখ ১৪৩১,

০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বগুড়ায় অক্সিজেন সংকটে ৭ জনের মৃত্যু

বগুড়া প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ২ জুলাই ২০২১  
বগুড়ায় অক্সিজেন সংকটে ৭ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া (০২ জুলাই): বগুড়াস্থ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা (উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সরবরাহকারী সরঞ্জাম) সংকটের কারণে ৭ জন করোনা রোগীর মারা গেছেন। এদিকে, আরও ১০ জনের অবস্থা সংকটাপূর্ণ। হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টায় এ  ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতালটির সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে ২০২০ সালের মার্চের শেষের দিকে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার জন্য  প্রস্তুত করা হয়। তখন সেখানে সিলিন্ডার দিয়ে করোনা রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া হতো। চলতি বছরের এপ্রিলে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ চালু করা হয়।

শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত কোভিড ডেডিকেডেট ২৫০ শয্যার মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে ২২৩ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। যাদের অধিকাংশেরই উচ্চ মাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতালটিতে বর্তমানে মাত্র দুটি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে। ফলে দুজনের বেশি রোগীকে একসঙ্গে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে যাদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮৭ এর নিচে তাদের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে।

হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসক শফিক আমিন কাজল গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হাসপাতালটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ চালু হলেও সবগুলো শয্যায় উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা যুক্ত করা হয়নি। ৮ শয্যা নিয়ে চালু করা আইসিইউ ইউনিটেরও দুটিতে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে। ফলে  আইসিইউ ইউনিটের ওই দুটি শয্যায় কেবল উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন সররবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। 

তিনি আরও জানান, ভর্তি থাকা দুই শতাধিক রোগীকে হয় ফেস্ক মাস্ক অথবা রিব্রিদার মাস্ক দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় ফেস্ক মাস্ক দিয়ে একজন করোনা রোগীকে প্রতি মিনিটে মাত্র ৫ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব। অন্যদিকে রিব্রিদার মাস্ক দিয়ে প্রতি মিনিটে ১৫ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়। আর হাইফ্লোন্যাজাল ক্যানোলা দিয়ে একজন রোগীকে প্রতি মিনিটে ৬০ লিটার অক্সিজেন দেওয়া যায়।

তিনি জানান, রোগীদের মধ্যে যাদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০ এর ওপরে কেবল তাদের ফেস্ক মাস্ক দিয়ে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচানো সম্ভব। আর যাদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০ এর নিচে কিন্তু ৮৭ এর ওপরে তাদের রিব্রিদার মাস্ক দিয়েও সুস্থ করে তোলা যায়। তবে যাদের অক্সিজেনের মাত্রা ৮৭-এর নিচে তাদের জন্য অবশ্যই হাইফ্লোন্যাজাল ক্যানোলাযুক্ত অক্সিজেন প্রয়োজন। 

হাসপাতালটির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই হাসপাতালে এখন যেসব রোগী আসছেন তাদের বেশিরভাগেরই অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৬০ থেকে ৭২ এর মধ্যে। তাদের হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দিয়ে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ করা প্রয়োজন।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়