মঙ্গলবার

১৮ নভেম্বর ২০২৫


৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২,

২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তাণ্ডবের বিচার চেয়ে হেফাজত নেতার দল ত্যাগ

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২৩:১২, ২৩ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ২৩:১৭, ২৩ এপ্রিল ২০২১
তাণ্ডবের বিচার চেয়ে হেফাজত নেতার দল ত্যাগ

মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী। ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (২৩ এপ্রিল): হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় চালানো তাণ্ডবে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার চেয়ে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছেন মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী।

আব্দুর রহিম কাসেমী হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। 

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে এক লিখিত বিবৃতিতে পদত্যাগ করার বিষয়টি জানান তিনি। সেখানে তিনি হেফাজতের নেতা-কর্মীদের এমন আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে ইসলামবিরোধী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রেসক্লাবে সকালে সাড়ে ১০টায় হেফাজতের এই নেতার সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল। তবে পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেন। এরপর দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যটি জেলার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠিয়ে দেন।

লিখিত বিবৃতিতে আব্দুর রহিম কাসেমী জানান, হেফাজতের ইসলামের চলমান কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে তিনি জড়িত না। তাদের সব ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রমকে শরিয়তভাবে অবৈধ বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি যাদের প্ররোচনায় দেশ ও জনগণের জানমাল, রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকার ও প্রশাসনকে অনুরোধ জানান।

তিনি আরও জানান, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাষ্ট্রীয় সফরকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলাম যে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক। দেশ ও জনগণের জানমালের যে ক্ষতি হয়, তা কোনোভাবেই ইসলাম সমর্থন করে না। তাই ব্যক্তিগতভাবে তিনি এসব কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় থাকেন। এবং বর্তমানে নিজের পরিচালিত মাদ্রাসায় সব শিক্ষক ও ছাত্রকে এসব দেশ ও ইসলামবিরোধী কাজে যোগদান না করতে বাধ্য করেন।

এ সময় তিনি দাবি করেন, গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়ীয়া রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আক্রমণ ও ক্ষয়ক্ষতি করা এবং ২৭ ও ২৮ মার্চ হরতাল চলাকালে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এসবে তিনি ও তাঁর মাদ্রাসা অংশগ্রহণ করেনি। 

লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রহিম কাসেমী  বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতে ইসলামের সব কার্যক্রম, জাতীয় ও জেলা কমিটির পদ থেকে পদত্যাগ করছি। যাদের প্ররোচনায় রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়