সোমবার

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫


৩১ ভাদ্র ১৪৩২,

২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ফরিদপুরে হামলা পরিকল্পিত: ইউএনও

ফরিদপুর প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ৬ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ২৩:০৪, ৬ এপ্রিল ২০২১
ফরিদপুরে হামলা পরিকল্পিত: ইউএনও

ফরিদপুরের সালথায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন

ফরিদপুর (০৬ এপ্রিল): লকডাউন বাস্তবাায়ন করতে যাওয়া প্রশাসনের লোকজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জেরে ফরিদপুরের সালথায় যে হামলার ঘটনা ঘঠেছে তা পরিকল্পিত বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা পুলিশ। 

এ বিষয়ে সালথার ইউএনও হাসিব সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গুজব ছড়িয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।’ 

হাসিব সরকার বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার বিকালে রামকান্তপুর এলাকায় লক ডাউন বাস্তবায়ন করতে যাই। মানুষের সেখানে জটলা সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় আমি ফিরে আসি। সেখানে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের বাগবিত-া হয়। এ সময় পুলিশের এসআই মিজানুর রহমানের ওপর হামলা চালায় স্থানীয়রা। 

ইউএনও  বলেন, এক পর্যায়ে একটি চক্র গুজব রটায় যে, পুলিশের গুলিতে স্থানীয় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে এবং বাহিরদিয়া মাদ্রাসার দুই মওলানাকে গ্রেপ্তারের পর মারধর করা হচ্ছে। এর জেরে রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা চত্বরে লাঠিসোটা নিয়ে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ইউএনওর গাড়ি, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি ও তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, মিথ্যা গুজবেই মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা চালানো হয়। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সালথা থানা পুলিশের পাশাপাশি আশপাশের থানা থেকে পুলিশ সদস্যসহ র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা এসে ৫৮৮ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি, ৩২ রাউন্ড গ্যাস বুলেট, ২২টি সাউন্ড গ্রেনেড ও ৭৫ রাউন্ড রাইফেলের গুলি ছোড়ে। এ সময় আইশৃঙ্খলা বাহিনীর আট সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। 

প্রসঙ্গত, সোমবার রাত রাতে সালথা উপজেলা কমপ্লেক্স, উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দপ্তর ভাঙ্চুর ও আগুন দেয় শত শত মানুষ। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য যোগ দেন। তারা কয়েক শত গোলা নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় জুবায়ের হোসেন (২০) নামে এক তরুণ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঘটনার পর পুলিশ তিনজনকে আটক করে। 
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়