মঙ্গলবার

২৩ এপ্রিল ২০২৪


১০ বৈশাখ ১৪৩১,

১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সম্পন্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৭:২২, ২৮ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৯:৩১, ২৮ অক্টোবর ২০২১
পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সম্পন্ন

ছবি: আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপনাস্ত্রের সফল পরীক্ষা

ঢাকা (২৮ অক্টোবর): ভারত পরমাণু বোমা নিয়ে ৫,০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে চলা বিরোধের মধ্যে বুধবারের এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে চীনের জন্য হুশিয়ারি হিসেবে মনে করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরা, টাইমস অব ইনডিয়া।

বুধবার রাতে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে অগ্নি -৫ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এর ফলে চীনের উত্তরাঞ্চলও ভারতের হামলার আওতায় চলে এসেছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তিন পর্যায়ে ‘সলিড ফুয়েলের ইঞ্জিন’ সমৃদ্ধ এ ক্ষেপণাস্ত্র ৫০০০ কিলোমিটার দূরের সুর্দিষ্ট স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পরীক্ষা বেশ সফলতার সঙ্গেই করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে উড়িষা উপকূলের এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে দেড় টন ওয়ারহেড নিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপন করা হয়। বঙ্গোপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্রটি পড়ার আগে সময়ের চেয়ে ২৪গুন দ্রুত গতিতে এটি উৎক্ষেপন করা হয়। এর গতি রাডার, ইলেক্ট্র-অপটিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম, টেলিমেট্রি স্টেশন এবং বিভিন্ন জাহাজ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বেইজিংয়ের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকায়নের কারণে নয়া দিল্লিও তাদের সমরাস্ত্র আধুনিক করছে। ভারতের এবারের পরীক্ষা চালানো অগ্নি-৫ চীনের প্রায় যে কোন স্থানের লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানতে সক্ষম।

ভারত ইতোমধ্যে প্রতিবেশি রাষ্ট্র পাকিস্তানের যে কোন স্থানে হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দুই দেশ এরই মধ্যে তিনবার যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে।

চীনের সঙ্গে অস্ত্র আধুনিকায়নের প্রতিযোগিতায় নেমে ভারত ১৯৯০ এর দশক থেকে পারমানবিক ওয়ারহেডসহ বা ছাড়া মধ্য বা দূর পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র নিয়ে কাজ করতে শুরু করে। গত বছর লাদাখ অঞ্চল ঘিরে দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।

ভারত মনে করছে বেইজিং ভারত মহাসাগরেও তাদের আধিপত্য বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

লাদাখের বিরোধপূর্ণ এলাকাতে অস্ত্র ব্যবহার না করার লক্ষ্যে এ মাসের শুরুতে ভারত ও চীনের সামরিক কমান্ডারদের আলোচনা অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যকার ১৭ মাসের অচলাবস্থার কোন অগ্রগতি হয়নি।     

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়