মঙ্গলবার

১৬ এপ্রিল ২০২৪


৩ বৈশাখ ১৪৩১,

০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ইব্রাহিম রাইসিই হচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ১৯ জুন ২০২১   আপডেট: ১৯:৫২, ১৯ জুন ২০২১
ইব্রাহিম রাইসিই হচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

ছবি: ইব্রাহিম রাইসি

ঢাকা (১৯ জুন): ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ইব্রাহিম রাইসিই নির্বাচিত হচ্ছেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণার আগেই তার তিন প্রতিদ্বন্দ্বি পরাজয় স্বীকার করে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আগেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল সংস্কারপন্থী বিচারবিভাগের প্রধান রাইসি বিপুল ব্যবধানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় লাভ করবেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ট বলে পরিচিত নির্বাচনের আগে থেকেই বিভিন্ন ভাবে এগিয়ে ছিলেন।

অপেক্ষাকৃত উদারপন্থী প্রার্থী হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান আব্দুল নাসের হেম্মাতি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় রাইসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক চিঠিতে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি আশা করি মহান নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির নেতৃত্বে আপনার সরকার জাতির জন্য সুযোগ সুবিধা আর উন্নতি নিয়ে আসবে’।

ইনফোগ্রাফ: আল জাজিরারাইসি অবশ্য তাৎক্ষণিক ভাবে হেম্মাতি বা সাবেক রেভ্যুলেশনারি গার্ড কমান্ডার মোহসেন রেজাঈর পরাজয় স্বীকার করা নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি কারো নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, ‘জনগণ প্রেসিডেন্টকে নির্বাচিত করেছেন’। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনো নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়নি। তাই আরো পরেই আমি আনুষ্ঠানিক ভাবে অভিনন্দন জানাবো। তবে, ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গেছে ভোট কে পেয়েছেন।’

শুক্রবার অনুষ্ঠিত ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রায় ৬০ মিলিয়ন ভোটার প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির উত্তরসুরি নির্ধারনে ভোট দিয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে রাত ১২টা পর্যন্ত।

ইরানে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন পেয়েছিলেন ৭ জন। ৩ জন সরে দাঁড়ানোয় অবশেষে প্রার্থী ছিলেন ৪ জন। এরা হলেন, আব্দুল নাসের হেম্মাতি, মোহসেন রেজাঈ, আমির হোসেন গাজীজাদেহ হাশেমি এবং ইব্রাহিম রাইসি।

রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত মতামত জরিপ এবং বিশ্লেষকগণ কট্টরপন্থী বিচারবিভাগের প্রধান ৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসিকেই এগিয়ে রেখেছেন। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই ইব্রাহিম রাইসির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপিত রয়েছে। ১৯৮৮ সালে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান থাকার সময়ে রাজনৈতিক বন্দিদের গণহারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

কালো পাগড়ি ব্যবহারকারি রাইসি নিজেকে প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর সরাসরি বংশোধর এবং শিয়া অনুসারি দাবি করেন। তার বিজয় ইরানে রুহানির মতো বাস্তববাদী রাজনীতিবিদদের অবসান নিশ্চিত করবে বলে এর আগে বিভিন্ন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল।

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়