ব্রিটেনে করোনা নিষেধাজ্ঞা আরো একমাস বৃদ্ধি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
ঢাকা (১৫ জুন): ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনা প্রতিরোধে চলমান নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়েছেন। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিষেধাজ্ঞা আরো একমাস বহাল রাখার ঘোষণা দেন। খবর বিবিসি।
জনসন বলেন, তিনি যদি কিছুই না করেন তাহলে আরো হাজার হাজার লোক মারা পড়তে পারে। কারণ করোনার ডেল্টা ধরন খুবই মারাত্মক।
ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চলমান নিষেধাজ্ঞা ১৯ জুলাই প্রত্যাহার করা হতে পারে। করোনার উদ্বেগজনক ডেল্টা ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী জনসন এ ঘোষণা দিয়েছেন।
জনসনের ফেব্রুয়ারি মাসের চূড়ান্ত পরিকল্পনায় আগামী ২১ জুন থেকে অধিকাংশ সামাজিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথা বলা হয়েছিল। এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলে পাব, রেস্টুরেন্ট, নাইটক্লাবসহ অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে যেতো। এখন তা পিছিয়ে ১৯ জুলাই করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জনসন বলেন, আমি মনে করি আরো কিছু সময় অপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আমার বিশ্বাস আমাদের আর চার সপ্তাহের বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। এ সময়ের মধ্যে আমরা আরো বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী ১৯ জুলাই নাগাদ সব কিছু খুলে দেওয়ার আশা প্রকাশ করলেও রক্ষণশীল এমপিরা আশংকা করছেন এ সময় আরো বাড়ানো হতে পারে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক সোমবার রাতে বলেছেন, দুঃখ ভরাক্রান্ত মনে আমাদের নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে ভাইরাসের সঙ্গে ভ্যাকসিন দেওয়ার লড়াই আমাদের এখনো শেষ হয়নি।
তবে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হলেও ২১ জুনের পর থেকে কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথির সংখ্যার সীমা উল্লেখযোগ্য। ২১ জুনের পর থেকে ৩০ জনের অতিথি রাখার বাধ্যবাদকতা থাকবে না। তবে যে স্থানে বিয়ের মতো জনসমাগমের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে সেসব স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধি নিষেধ বহাল রাখা বাধ্যতামূলকই থাকছে।
ভারতে প্রথম দেখা দেয়া করোনার ডেল্টা ধরন সম্প্রতি ব্রিটেনেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এটি তাদের দেশে প্রথম দেখা দেয়া আলফা ধরনের চেয়েও ৬০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।
ব্রিটেনের বিরোধী লেবার পার্টি বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় সরকারের বিলম্বের সমালোচনা করে বলেছে, ভারত থেকে আসা যাত্রীদের ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধে খুবই দেরী করা হয়েছে।
ব্রিটেনে সোমবার নতুন করে ৭,৭৪২ জন করোনায় আক্রান্ত এবং তিনজন মারা গেছে। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে ব্রিটেনে সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত এক লাখ ২৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।