শুক্রবার

১৯ এপ্রিল ২০২৪


৬ বৈশাখ ১৪৩১,

০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিক্ষোভের পর চীনের জিনজিয়াংয়ে যে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ২৮ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৭:২৬, ২৮ নভেম্বর ২০২২
বিক্ষোভের পর চীনের জিনজিয়াংয়ে যে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (২৮ নভেম্বর): চীনের পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলের রাজধানী উরুমকিতে সোমবার থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরে কোভিডের বিধিনিষেধের কারণে উদ্ধার তৎপরতায় বিলম্বের কারণে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে সোমবার কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তারা সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, শহরের চল্লিশ লাখ বাসিন্দা মঙ্গলবার থেকে প্রয়োজন হলে তাদের নিজ জেলায় বাসে করে যেতে পারবেন। এসব বাসিন্দাদের মধ্যে কেউ কেউ সারা সপ্তাহ ধরেই তাদের নিজ বাড়িতে অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে দিন কাটিয়েছেন।
 
কর্মকর্তারা একদিন আগে বলেছিলেন, "কম-ঝুঁকিপূর্ণ" এলাকায় কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ফের চালু করার জন্য আবেদন করতে পারে। সেক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ জনবল নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া গণপরিবহন এবং বিমান চলাচল ধীরে ধীরে চালু করা হবে।
 
বৃহস্পতিবার রাতে উরুমকিতে একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে দশ জন নিহত হয়েছে। কঠোর কোভিড বিধিনিষেধের কারণে সেখানে উদ্ধারকাজ ব্যহত হওয়ায় দেশের কঠোর শূন্য-কোভিড নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে চীনের একাধিক শহরে রাস্তায় নেমে জনতা বিক্ষোভ করেছে।

অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী অনেকেই উদ্ধার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য উরুমকিতে কোভিড লকডাউনকে দায়ী করেছেন। তবে কর্মকর্তারা বলেছেন, রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি থাকার কারণে অগ্নিনির্বাপকদের কাজ করতে অসুবিধা হয়েছিল।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সোমবার কোভিড নীতির সঙ্গে আগুনের পর উদ্ধার তৎপরতা ব্যহত হওয়ার যোগসূত্রকে "উদ্দেশ্যযুক্ত" বলে উল্লেখ করে কঠোর সমালোচনা করেছেন।

তবে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ওই শহরটি "মূলত সামাজিক সংক্রমণ শূন্যে কমিয়ে আনা হয়েছে" এবং তারা "পর্যায়ক্রমে এবং সুশৃঙ্খলভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার স্বাভাবিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে"।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়