বৃহস্পতিবার

২৮ মার্চ ২০২৪


১৪ চৈত্র ১৪৩০,

১৮ রমজান ১৪৪৫

বেঙ্গালুরুতে গণধর্ষণের ঘটনায় ৭ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৫:০১, ২১ মে ২০২২  
বেঙ্গালুরুতে গণধর্ষণের ঘটনায় ৭ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন

ফাইল ছবি, সংগৃহিত

ঢাকা (২১ মে): ভারতের বেঙ্গালুরুতে গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সেখানকার একটি বিশেষ আদালত ১১ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন। এর মধ্যে সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত বছরের মে মাসে এক বাংলাদেশিকে গণধর্ষণের ঘটনায় তাদের এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খবর, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

গতকাল শুক্রবার বিশেষ আদালত ৫৪ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। এর মধ্যে সাত আসামিকে যাবজ্জীবন ও দুইজনকে ৫ বছর ও ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন- চাঁদ মিয়া, রিফাকদুল ইসলাম, আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, বাবু শেখ, মো. ডালিম এবং আজিম হোসেন। অন্যদিকে, তানিয়া খান ২০ বছর এবং  মো. জামাল নামের অপর আসামীকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া, মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে অপরাধের জন্য ৯ মাসের সাধারণ কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন এবং অন্য একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে । মামলায় একজন অভিযুক্ত ছিলেন ভারতীয়, তবে তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মে মাসে বেঙ্গালুরু শহরের কানাকা নগরে এক নারী যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ধর্ষণের ওই ভিডিও ভাইরাল হলে ভারত ও বাংলাদেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার জন্ম দেয়। পরে বেঙ্গালুরুতে এটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়।  সে সময়  দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু টুইটারে এক টুইটে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশকে সাহায্য করার জন্য জনগণকে অনুরোধ করেন।

পুলিশ পরে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করে। যাদের মধ্যে ১১ জন অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অভিবাসী হিসেবে ছিল। 

পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ভীমশঙ্কর গুলেদ জানান, এ ঘটনায় পুলিশ ডিএনএ বিশ্লেষণ, মোবাইল ফরেনসিক, আঙুলের ছাপের প্রমাণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ব্যবহার করে ২৮ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেয়। এবং ৩ মাসে বিচার শেষ করা হয়।  

Nagad
Walton

সর্বশেষ