শুক্রবার

২৯ মার্চ ২০২৪


১৫ চৈত্র ১৪৩০,

১৮ রমজান ১৪৪৫

ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ১৩ জন নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ৫ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৬:৩৯, ৫ ডিসেম্বর ২০২১
ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ১৩ জন নিহত

টুইটে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুজেটে দেখা যাচ্ছে অগ্নিকাণ্ড থেকে আত্মরক্ষা করতে শিশুসহ সকলে দৌড়ে নিরাপদ স্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছে

ঢাকা (০৫ ডিসেম্বর): ইন্দোনেশিয়ার জাভা প্রদেশে গতকাল শনিবার আকস্মিকভাবে শুরু হওয়া মাউন্ট সেমেরুর অগ্ন্যুৎপাতে এ পর্যন্ত অন্তত ১৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দেশটির জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ রবিবার এএফপি, বিবিসিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, জাভার সবচেয়ে বৃহত্তম পর্বতে শনিবার আকস্মিক অগ্ন্যুপাতে স্থানীয়রা হতবাক হয়ে পড়েন, হাজার হাজার লোক আগ্নেয়গিরি বিপদজ্জনক এলাকা থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন, শত শত পরিবার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। এদিকে, দেশটির দুর্যোগ কর্মকর্তারা জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা রাতভর  অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করেছেন। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির লুমাজাঙ জেলায় আগ্নেয়গিরি নিকটস্ত অন্তত ১১টি গ্রাম ছাইয়ে ঢেকে গেছে, ঘরবাড়ি ছাইয়ে চাপা পড়েছে, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বহু গবাদি পশু মারা গেছে, লোকদের সরিয়ে মসজিদে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন এজেন্সি (বিএনপিবি) মুখপাত্র আব্দুল মুহারী ফোনে এএফপিকে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে, উদ্ধারকারীরা আরও মৃতদেহের সন্ধান পেয়েছেন।

মুহারী আরও জানান,পূর্ব জাভা প্রদেশের লুমাজাঙ এ আগ্নেয়গিরির আশপাশের এলাকা থেকে আটকে পড়া ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, বিএনপিবি এক সংবাদ-বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, আগ্নেয়গিরির বিষ্ফোরণে কমপক্ষে ৫৭ জন আহত হয়েছেন, এদের মধ্যে ৪১ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সংস্থাটি আশ্রয়কেন্দ্রে খাদ্য, ত্রিপল, ফেসমাস্ক, বডিব্যাগ পাঠিয়েছে। ২০২০ সালে এই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের পরে এবার সেমেরুর এই অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগের ওই অগ্ন্যুৎপাতে হাজার হাজার লোক পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় এবং তাদের গ্রামগুলো ছাইয়ে ঢেকে যায়।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপপুঞ্জের নিচে রিং অব ফায়ার হিসেবে পরিচিত ভূগর্ভস্ত টেকনোটিক প্লেটের অবস্থান, এই মহাদেশীর প্লেটগুলোর সংযোগস্থলের কারণে প্রায়শই ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত হয়ে থাকে। ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে এই দ্বীপমালায়।

Nagad
Walton

সর্বশেষ