আফগানিস্তানে বাগরাম ঘাঁটি ছাড়ল মার্কিন সেনারা

ঢাকা (০২ জুলাই): প্রায় ২০ বছর যুদ্ধের পর অবশেষে আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি ছেড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের সেনারা। তালেবানের সঙ্গে চুক্তির শর্ত মেনে শুক্রবার বাগরাম বিমান ঘাঁটি থেকে সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ করে। খবর আল জাজিরা।

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক দুই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ১১ সেপ্টেম্বরের যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর তালেবান এবং সহযোগি আল কায়েদার সদস্যদের উৎখাতে বাগরামই ছিল মুল কেন্দ্র বিন্দু।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘সব আমেরিকান সেনা ও ন্যাটো বাহিনী বাগরাম বিমান ঘাঁটি ত্যাগ করেছে।’

এই বাগরাম ঘাঁটি থেকেই আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালানো ও কৌশলগত সহযোগিতা দিতো মার্কিন বাহিনী। এই ঘাঁটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের অর্থ হচ্ছে আনষ্ঠানিক ভাবে আফগানিস্তানের সঙ্গে মার্কিন বাহিনীর সম্পৃক্ততা শেষ হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা এপিকে ওই দুই মার্কিন কর্মকর্তা শুক্রবার বলেছেন, আফগান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ফোর্সেস এর কাছে বাগরাম ঘাঁটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

তবে এক আফগান কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শনিবার বাগরাম ঘাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।

দুই মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে অধিকাংশ মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ত্যাগ করবেন। কিছু সেনা থেকে যাবে মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য।

বাগরাম থেকে সেনা প্রত্যাহারের অর্থ হচ্ছে আফগানিস্তানে ২৫০০ থেকে ৩৫০০ সেনা যে অবশিষ্ট রয়েছে তারাও অচিরেই সেখান থেকে চলে যাবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছিলেন ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু নির্ধারিত সেই সময়ের আগেই সব সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

১ মে থেকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি সামরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এর জবাবে বাইডেন বলেছিলেন,  আফগানিস্তানের ভাগ্য আফগানদেরই গড়ে নিতে হবে।