বৃহস্পতিবার

০২ মে ২০২৪


১৯ বৈশাখ ১৪৩১,

২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ওমিক্রনকে মৃদু বিবেচনা না করার হুশিয়ারি ডব্লিউএইচও’র

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৫:১০, ৭ জানুয়ারি ২০২২  
ওমিক্রনকে মৃদু বিবেচনা না করার হুশিয়ারি ডব্লিউএইচও’র

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (০৭ জানুয়ারি): করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে মৃদু বিবেচনা না করার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। খবর বিবিসি।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে আগের কোভিড ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ওমিক্রনে মানুষের গুরুতরভাবে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কম।

তবে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ সম্প্রতি শনাক্ত এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বড় ধরণের চাপের মুখে ফেলেছে বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও-এর প্রধান ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস।

সোমবারের প্রকাশিত এক তথ্যে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি কোভিডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা ডব্লিউএইচও জানিয়েছে যে গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, আর কেবল আমেরিকাতেই বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ শতাংশ। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বব্যাপী যারা করোনাভাইরাসে গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ৯০ শতাংশ কোন টিকা নেননি।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ড. গেব্রেইসাস বলেন, ‘যদিও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার তুলনায় কম গুরুতর বলে মনে করা হচ্ছে, বিশেষ করে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের জন্য, কিন্তু এর মানে এই নয় যে এই ভ্যারিয়েন্টটিকে মৃদু হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর মতোই, ওমিক্রনে আক্রান্ত মানুষদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে এবং এর প্রভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে।’

ডব্লিউএইচও প্রধান আরও বলেন, ‘মূলত আক্রান্তের এই ঢেউ এতোই বিশাল এবং এতোটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যে এটি বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে প্রবল চাপের মুখে ফেলেছে।’

ড. গেব্রেইসাস বলেন, ওমিক্রন অত্যন্ত সংক্রামক এবং দুই ডোজ টিকা দেওয়া হলেও মানুষ এতে সংক্রমিত হতে পারে। এরপরও ভ্যাকসিন দেয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে আপনার গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে, ফলে আপনার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে ১৭৯,৭৫৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে রিপোর্ট করা হয়েছে এবং ওই দিন ২৩১ জন কোভিডের নানা জটিলতায় মারা গিয়েছেন। কোভিডের কারণে কর্মীদের অনুপস্থিতি এবং ক্রমবর্ধমান চাপের কারণে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে "গুরুতর পরিস্থিতি" ঘোষণা করা হয়েছে।

অন্যত্র, হাসপাতালের সংখ্যাও বাড়ছে। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভেরান এই সপ্তাহে সতর্ক করেছেন যে জানুয়ারি মাসে হাসপাতালগুলোকে বেশ কঠিন সময় পার করতে হবে।

তিনি আরও বলেছেন যে অমিক্রনে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালের সাধারণ শয্যায় চিকিৎসা নিলেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সময় আইসিইউ-তে রোগীর চাপ অনেক বেশি ছিল। ফ্রান্স বৃহস্পতিবার ২৬১,০০০ জনের আক্রান্তের খবর জানিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যে বিশ্বের ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণরূপে টিকার আওতায় আনা। তবে ভ্যাকসিন বিতরণের ভিত্তিতে ডব্লিউএইচও প্রধান ধারনা করছেন যে ১০৯টি দেশ এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়