শুক্রবার

২৯ মার্চ ২০২৪


১৫ চৈত্র ১৪৩০,

১৯ রমজান ১৪৪৫

ডিজিটাল খাতে অবদান: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীসহ ১৫ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৯:০০, ১ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৯:০২, ১ জানুয়ারি ২০২২
ডিজিটাল খাতে অবদান: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীসহ ১৫ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা

ছবি: বাসস থেকে সংগৃহীত

ঢাকা (০১ জানুয়ারি): ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতে অবদানের স্বীকৃতি-স্বরূপ ১৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ মোট ১৮ জনকে সম্মাননা দেওয়া  হয়েছে। কম্পিউটার সিটি সেন্টার শপ হোল্ডার্স সোসাইটির পক্ষ থেকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

‘মুজিব শতবর্ষ’ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কম্পিউটার সিটি সেন্টার শপ হোল্ডার্স সোসাইটির উদ্যোগে রাজধানীর মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে আয়োজিত মাসব্যাপী  ‘বিজয় উৎসব-২০২১’ র শেষদিনে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় একই সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সম্মাননায় ভূষিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার  ও তার স্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা বকুল মোস্তাফাও রয়েছেন। এ ছাড়াও, ১৯৬৪ সালে দেশে প্রথম কম্পিউটারের যাত্রা শুরুর অবদানের স্বীকৃতি-স্বরূপ বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় দেশের প্রথম প্রোগ্রামার পরমাণু বিজ্ঞানী প্রকৌশলী মো. হানিফ উদ্দিন মিয়াকে (মরনোত্তর)।

সম্মাননা প্রাপ্তদের মধ্যে আরও রয়েছেন, তৌফিক এহসান, মাহবুব জামান, এ ওয়াই মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ (মরণোত্তর), আক্তারজ্জিামান মঞ্জু (মরণোত্তর), শেখ কবীর আহমেদ, জেলাল শফি, নজরুল ইসলাম খান (মরণোত্তর), শাহজামান মজুমদার বীর প্রতীক (মরণোত্তর), মোঃ হাবিবুল আলম বীর প্রতীক, জিল্লুর রহিম দুলাল, শাহ সাইদ কামাল, বীরেন্দ্র নাথ অধিকারী এবং দিল আফরোজ বেগম।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে যে মুক্তিযোদ্ধারা অবদান রেখেছেন, তাদেরকে সম্মানীত করার চেয়ে ভালো কাজ আর হতে পারে না। এর মধ্যে আমি নিজেও সম্মাননা পেয়েছি এটা খুবই আনন্দের।

বিসিসিএস ও বেসিসসহ ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতের বিভিন্ন ট্রেডবডির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফা জব্বার দেশে ডিজিটাল  প্রযুক্তি বিকাশে তিন যুগের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে কম্পিউটার ও মোবাইল সেবা বিকাশের ইতিহাসে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ১৯৯৬ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে শুরু হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ বছরে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। 

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আমদানিকারী দেশ থেকে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানিকারী দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিতে শত শত বছর পিছিয়ে থাকা জাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কর্মসূচি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করে পৃথিবীকে পথ দেখাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সভাপতি মাহবুব আহমদ বীর বিক্রম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ১ নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন (কামাল) এবং অ্যাসোসিও’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ এইচ কাফি, বিসিএস’র সাবেক মহাসচিব আহমেদ হাসান জুয়েল। কম্পিউটার সিটি সেন্টার শপ হোল্ডার সোস্যাইটির সভাপতি তৌফিক এহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতের বিভিন্ন ট্রেডবডির কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস।

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়