বুধবার

২৪ এপ্রিল ২০২৪


১১ বৈশাখ ১৪৩১,

১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে বাজারের নতুন প্রবণতা চিহ্নিত করুন: শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৪:০০, ২৬ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৪:৫০, ২৬ অক্টোবর ২০২১
রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে বাজারের নতুন প্রবণতা চিহ্নিত করুন: শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস থেকে সংগৃহীত

ঢাকা (২৬ অক্টোবর): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সারা বিশ্বে নতুন বাজারের চাহিদা ও প্রবণতা চিহ্নিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গবেষণার মাধ্যমে আমাদের বাজার আরও সন্ধান ও প্রবৃদ্ধি করতে হবে। আমরা আমাদের রপ্তানিকে বৃদ্ধিকে করতে কী কী নতুন পণ্য তৈরি করতে পারি, আমাদের সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।  

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি  আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এই শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, রপ্তানিকারকদের চিহ্নিত করতে হবে কোন দেশ কোন ধরনের পণ্যের দিকে নজর দেয় এবং উৎপাদক ও নির্মাতাদের সেসব পণ্য উৎপাদনের বিষয়ে ভাবতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে, বিশেষ করে বেসরকারি খাতকে এই বিষয়ে যথাযথ মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি কারণ, আমি মনে করি, আমাদের রপ্তানি ঝুঁড়িতে ধরন ও সংখ্যা বাড়াতে হবে।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখান থেকে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে তাদের পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এই আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) হল অব ফেমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনও সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনটি পিপিপি মডেলের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। যা একটি উন্নত অর্থনীতির জন্য একটি সংবাদ নীতি প্রণয়ন ও প্রদর্শনে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করবে।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ বিশেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত সুবিধা। 

সপ্তাহব্যাপী এই বিনিয়োগ সম্মেলনে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা ও সম্ভাবনার ওপর ভিত্তিতে বিশেষ করে অবকাঠামো, আইটি/আইটিইএস ও ফিনটেক, চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, অটোমোটিভ ও হালকা প্রকৌশল, প্ল্যাস্টিক পণ্য, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পাট ও বস্ত্র এবং এফএমসিজি এবং খুচরা ব্যবসাসহ নয়টি খাত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশসহ পাঁচটি মহাদেশের ৩৮টি দেশের ৫৫২টি কোম্পানি ৪৫০টি বিজনেস টু বিজনেস ম্যাচ মেকিং সেশনে অংশগ্রহণ করবে। 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়