গ্যাস বেচতে রাজি না হওয়ায় ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
সেমিনারে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
ঢাকা (১৬ অক্টোবর): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দেইনি বলে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। দেশ বেচে তো ক্ষমতায় আসব না। আমার কথা হচ্ছে, নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পরে বিক্রি করব।
আজ শনিবার সকালে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ উদযাপন উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।
ক্ষমতায় না আসতে পারা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার কথা ছিল, আগে আমার দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ হবে, অন্তত ৫০ বছরের মজুত থাকবে। তারপর যেটা অতিরিক্ত থাকবে সেটা আমি বেচতে পারি। তা ছাড়া এই দেশের সম্পদ আমি বেচতে পারি না। এই কথা আসলে একটা বিশাল দেশ আমেরিকা আর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পছন্দ হয়নি। কাজেই আমি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি।
খাদ্য উৎপাদন ও কৃষির আধুনিকায়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা এ সময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এবং খাদ্য অপচয় রোধে সবাই নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উদ্বৃত্ত খাদ্য কাজে লাগানোর পথ বের করার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের প্রথম চাহিদা খাদ্য। আমাদের খাদ্য দিতে হবে। এজন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। যদি কেউ ঋণ না দেয়, তাহলে নিজেদের পয়সায় দেব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকেই আমরা বর্গাচাষীদের বিনা জামানতে কৃষিঋণ দেওয়া শুরু করি। আমাদের লক্ষ্য ছিল ব্যাংক কৃষকের কাছে পৌঁছে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশ থেকে কৃষকদের ভর্তুকি দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা তাদের কথা শুনিনি। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার আগ থেকেই বিশ্বব্যাংক আমাদের পরামর্শ দিয়েছে যে ভর্তুকি দেওয়া যাবে না। আমরা বলেছিলাম, পৃথিবীর সব দেশ দেয়, আমরা কেন দেব না?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরাসরি কৃষকের হাতে ভর্তুকির টাকা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে বর্তমান সরকার। প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড দিয়ে যাচ্ছি। মাত্র ১০ টাকায় কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
ওই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।