ঢাকেশ্বরী মন্দিরে লিফট স্থাপনসহ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন: তাপস

ঢাকা (১৩ অক্টোবর): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজারীদের সুবিধার্থে লিফট স্থাপনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে চলমান দুর্গাপূজা উদযাপন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মন্দির প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মেয়র এই তথ্য জানান।

ডিএসসিসি সবসময়ই ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের উন্নয়নে পাশে আছে এমন এমনটা জানিয়ে মেয়র বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী মন্দিরের মূল ভবনে পূজারীদের সুবিধার্থে একটি লিফটসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এ কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।

বরাবরের মতো এবারও করপোরেশন এলাকার সকল পূজামণ্ডপকে সহযোগিতা করা হয়েছে উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ডিএসসিসি বরাবরই ঢাকা শহরে যতগুলো পূজামণ্ডপ আছে, সেগুলোকে সহযোগিতা করে থাকে। আপনারা যে কোন সময় যে কোন বিষয়ে আমাদেরকে জানালে, আমরা আপনাদের পাশে থাকব।      

ডিএসসিসি মেয়র এ সময় উপস্থিত সকল পূজারীসহ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের পক্ষে তার সন্তান ও ডিএসসিসির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ রায়, দক্ষিণ সিটির ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর বিন আব্দাল আজিজ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।   

মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মণ্ডলের সঞ্চালনায় এবং কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামান, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনের পর ডিএসসিসি মেয়র রামকৃষ্ণ মিশন মন্দির, ওয়ারী সর্বজনীন পূজা মণ্ডপ এবং গেন্ডারিয়ার শ্রী শ্রী শিবমন্দির শারদীয় দুর্গাপূজা পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, ডিএসসিসির সহযোগিতায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ১ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে লিফট, লিফটকোর, জেনারেটর স্থাপনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন।     

এছাড়াও উল্লেখ্য যে, পূজা উপলক্ষ্যে ডিএসসিসি এলাকার ১৪৮টি মন্দির ও পূজামণ্ডপকে করপোরেশন হতে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরকে পাঁচ লাখ টাকা, রামকৃষ্ণ মিশনকে দেড় লাখ টাকা এবং বাকী মন্দির ও মণ্ডপগুলোর প্রতিটিকে পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।