শুক্রবার

২৯ মার্চ ২০২৪


১৫ চৈত্র ১৪৩০,

১৮ রমজান ১৪৪৫

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কালের বিবর্তনে উত্তীর্ণ: নৌপ্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২১:০২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ২২:৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কালের বিবর্তনে উত্তীর্ণ: নৌপ্রতিমন্ত্রী

ছবি: নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

ঢাকা (১৭ সেপ্টেম্বর): ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক গভীর ও কালের বিবর্তনে উত্তীর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

শুক্রবার  ভারতের পশ্চিমবঙ্গস্থ বনগাঁওয়ে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ২য় কার্গোগেইটের নির্মাণ কাজ এবং প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন-১এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যে কোন প্রতিবেশী দেশের জন্য রোল মডেল। রক্ত দিয়ে লেখা এ সম্পর্ক ছিন্ন করা যায় না। এ সম্পর্ক শুধু বন্ধুত্বের নয়, এ সম্পর্ক ভাইয়ের সম্পর্ক। বর্তমানে দুদেশের সম্পর্ক যে উচ্চতায় গেছে তা অনুসরণ করার মত। এ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। রক্তে লেখা সম্পর্ক অক্ষুন্ন থাকবে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ২৫ বছর মেয়াদি ‘মৈত্রী চুক্তির’ মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্কের যে গোড়াপত্তন করে গেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তা আরো সুসংহত ও বহুমুখী করেছেন। তারই হাত ধরে গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, ছিটমহল বিনিময়, ট্রানজিট সুবিধা প্রদান ও সমুদ্র সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারতের সীমান্ত নীতির ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতির কারণে বাংলাদেশ এখন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে।
 
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভ্রমণ, ব্যবসা এবং চিকিৎসার জন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গমণ করে, তার প্রধানতম প্রবেশদ্বার হচ্ছে বেনাপোল আর এ পারে পেট্রাপোল। ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের উন্নত সেবাদানের জন্য পেট্রাপোলে আরেকটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করায় তাদেরকে প্রতিমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান।  

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী  বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য সহজ করতে সহায়তার লক্ষ্যে অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতুর ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ঘোষিত ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১২টি বন্দর চালু আছে। বাকীগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় ও নিশিথ প্রামানিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ