গাজর, শসা ও টমেটোয় উত্তাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা (২৪ জুলাই): ঈদুল আজহায় সালাত বানানোর সবজির দামে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ঈদের পরেও যা থেমে নেই। গাজর, শসা, পুদিনা পাতা, ধনে পাতার দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং টমেটোর দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
আজ শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়— ঈদে শসা, গাজর এবং টমাটোর চাহিদা বেড়ে যাবার কারণে দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। স্বাভাবিক সময়ে একজন ক্রেতা যে পরিমাণ সবজি ক্রয় করে থাকেন তার থেকে সবাই দ্বিগুণ পণ্য কিনছেন। এসব কারণেই দাম বেড়েছে।
রাজধানীর ইন্দিরা রোড কাঁচাবাজার, হাতিরপুল কাঁচাবাজার, কারওয়ানবাজার এবং সাভারের গেণ্ডা কাঁচাবাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকা যা ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা যা ঈদের আগে ছিল ৯০ থেকে ১১০ টাকা এবং টমেটো ১০০ টাকা বিক্রি হলেও ঈদের পর ৭০ থেকে ৮০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।
তবে লেবুর দাম রয়েছে সহনীয় পর্যায়ে। প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা। ধনে পাতা ও পুদিনা পাতা কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আল আমিন বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ’কে জানান, কোরবানির ঈদের পর থেকে সবজির চাহিদা অনেক কম। তবে শসা, গাজর, লেবু, টমেটোর চাহিদা বেড়েছে। ফলে দামও বেড়েছে।
এ বিক্রেতা আরও জানান, বাজারে অন্যান্য সবজির সরবরাহ ভালো রয়েছে তবে ক্রেতা নেই। লকডাউন ও ঈদের ছুটি থাকায় প্রায় ক্রেতাশূন্য বাজার। ফলে সব ধরনের সবজির দাম ৫ থেকে ৭ টাকা কমেছে।
সাভার গেণ্ডা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা রুবেল মিয়া বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ’কে জানান, সাভারের কোনো বাজারেই টমেটো নেই। আর যে বিক্রেতাদের কাছে আছে তারা প্রতি কেজি টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা দাম বাড়িয়ে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি করছেন এবং শসা ও গাজরের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
তিনি আরও জানান, বাজারে যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে সেই পরিমাণ পণ্য নেই। ঈদুল আজহায় ঢাকার বাইরে থেকে পণ্যবাহী সব ট্রাক বেশি টাকার জন্য কোরবানির পশু পরিবহণ করেছে। ফলে এ ধরনের একটু সংকট তৈরি হয়েছে।
ইন্দিরা রোড ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরাও একই কথা বলেন। পণ্যের সরবরাহ কম হওয়াই দাম বেড়েছে।