বৃহস্পতিবার

২৮ মার্চ ২০২৪


১৪ চৈত্র ১৪৩০,

১৮ রমজান ১৪৪৫

রোগীদের বিদেশমুখী হওয়ার পেছনে ঘাপলা আছে: পরিকল্পনা মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৯:০৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২  
রোগীদের বিদেশমুখী হওয়ার পেছনে ঘাপলা আছে: পরিকল্পনা মন্ত্রী

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (৩০ সেপ্টেম্বর): পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে করছে সরকার। দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থেকে শুরু করে সার্জন সবকিছুই আছে। এরপরও ৮০ ভাগ রোগী বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো ঘাপলা আছে।

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আজ শুক্রবার সকালে মেডিকেল অনকোলজি সোসাইটি ইন বাংলাদেশ আয়োজিত ঢাকা ক্যান্সার সামিট-২০২২ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

এম এ মান্নান বলেন, ২০-৩০ বছর আগে চোখ, হার্টসহ দেশে কোনো ইনস্টিটিউট ছিল না, এখন অনেক হয়েছে। তারপরও আরও ভালো করতে হবে। কারণ, ভালো কাজে প্রতিযোগিতার কথা বলা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, দুঃখজন বিষয়, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নত হলেও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভারত, সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককে চিকিৎসা নিতে যায়। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিমানে করে দিল্লি, মাদ্রাজ, সিঙ্গাপুর ও ব্যাংক যাচ্ছে। অনেকে পড়াশোনার জন্য যায় সেটা ঠিক আছে। কিন্তু বড় অংশ যাচ্ছে  চিকিৎসা নিতে। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ রয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৫-৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তবে, যে কারণে এসব ক্লিনিক করা হয়েছে সেটি পূরণ না হওয়ার পেছনে কারণ রয়েছে। আমাদের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের যে গতি এসেছে, ২০৪০-৪১ সালের দিকে উন্নতি দেশে পৌঁছনোর যে পরিকল্পনা তা বাস্তবায়নে সবাইকে পরিশ্রম করতে হবে। এ জন্য গ্রামাঞ্চলেও চিকিৎসা ব্যবস্থায় জোর দিতে হবে। দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ গ্রামে থাকে।

মন্ত্রী চিকিৎসকদের গবেষণায় জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বলেন, আমাদের এখানে গবেষণা হচ্ছে না। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীও অনেকটা ক্ষুব্ধ। চিকিৎসকদের অন্যতম প্রধান কাজ গবেষণা। এর জন্য অর্থের প্রয়োজন হলে সরকার তা দেবে।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যয় অনুষ্ঠানে বলেন, ক্যান্সার অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা। সাম্প্রতিক সময়ে এর প্রকোপ বেড়েছে। গ্রামাঞ্চলে মুখের ক্যান্সারসহ নানা ধরনের ক্যান্সারের রোগী দেখা যায়। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। ফলে বেশিরভাগ রোগীকে ঢাকামুখী হতে হয়। বিশেষ করে জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আসেন। স্থানীয় পর্যায়ে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে এসব রোগী কমানো সম্ভব।

Nagad
Walton

সর্বশেষ