শুক্রবার

২৯ মার্চ ২০২৪


১৫ চৈত্র ১৪৩০,

১৮ রমজান ১৪৪৫

র‌্যাবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন বিদায়ী ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৩:৫১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  
র‌্যাবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন বিদায়ী ডিজি

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (২৮ সেপ্টেম্বর): এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) শীর্ষ সাত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিরসনে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার বিদায়ী মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

বুধবার রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে এবং তিনি বেনজীর আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

তিনি বলেন, অভিজাত বাহিনীর সার্বিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েনি।

আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা মেনে চলবে।

তিনি বলেছেন, পুলিশ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে। এ বিষয়ে বাহিনীর দীর্ঘদিনের যে অনুশীলন তা মেনে চলবে। একই সঙ্গে সামনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করবো।

নিষেধাজ্ঞার কারণে র‌্যাব বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ার কমিয়ে দিয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সদ্য বিদায়ী র‌্যাব মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘তোমরা এদেশের পুলিশ, এদেশেরই নাগরিক’। আমাদের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কেন আমরা দাঁড়াবো। যখন আমরা আক্রান্ত হই, মাদক, অস্ত্র উদ্ধার, মানবপাচারকারী যখন আমাদের ওপর আক্রমণ করে তখন আমরা প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আইনে যে ক্ষমতা র‌্যাবকে দেওয়া হয়েছে তা আমরা অতিক্রম করি না।

তিনি বলেন, যেখানে প্রয়োজন হয় সেখানেই শক্তি প্রয়োগ করি। যেখানে প্রয়োজন হয় না সেখানে করি না। একটা লোক দৌড় দিলো, ধাক্কা দিলো আর গুলি করে দিতে হবে? সিচুয়েশন যে ডিমান্ড করে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আমাদের দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ীই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।

মাদকের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নতুন আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা যে যুদ্ধ করছি সেটা বৈশ্বিক যুদ্ধ, এ যুদ্ধ শুধু আমরা না, বিশ্বজুড়েই চলছে। আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাজের কারণে কারাগারে যে আসামি তার বেশিরভাগই মাদকের।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের পর যেখানেই মাদক সেখানেই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শুধু র‌্যাব নয়, সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই তাদের ধরছে। মাদকের বিষয়ে সবার ঘর থেকেই সচেতনতা দরকার। সন্তান কোথায় যাচ্ছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের।

তিনি বলেন, ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই একটার সঙ্গে আরেকটা জড়িত। এটা বন্ধে আমরা কাজ করছি। মাদক নিয়ন্ত্রণে নেই, এটা বলার অবকাশ নেই। যেখানেই খবর পাচ্ছি সেখানেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা যদি মাদকের বিরুদ্ধে ব্যর্থই হতাম তাহলে কারাগারে এতো মাদকের আসামি থাকতো না। আমরা সবাই সোচ্চার হলে শিগগির মাদকমুক্ত সমাজ দেখতে পাবো বলে বিশ্বাস করি।

র‌্যাবের সদ্য বিদায়ী ডিজি জানান, তার সময়কালে ৩৬ হাজার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার, ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং ৭৭ হাজার বোতল মাদকের চালান জব্দ করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের মিডিয়া ও লিগ্যাল উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনসহ র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ