শুক্রবার

২৬ এপ্রিল ২০২৪


১৩ বৈশাখ ১৪৩১,

১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৯ অক্টোবর

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ২০:০৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৯ অক্টোবর

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (২৬ সেপ্টেম্বর): বাংলাদেশের আকাশে আজ সোমবার কোথাও পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এই হিসাবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৯ অক্টোবর রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হবে।

সোমবার বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান।

সভায় জানানো হয়, চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, সোমবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল পবিত্র সফর মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ৯ অক্টোবর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. মুশফিকুর রহমান, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনুর মিয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. নজরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. ছাইফুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী হাফিজুল আমিন, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী- পরিচালক (প্রশাসন) মো. নাজিম উদ্দিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান,  সরকারী মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুর রশীদ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতী মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.): সর্বশেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এঁর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন ১২ রবিউল আউয়াল। আরবের মক্কা নগরে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ওই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। বাংলাদেশে দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ১২ রবিউল আউয়ালকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন। যখন অন্যায়-অত্যাচার-মেয়েশিশু হত্যা ও পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল চারিদিক, তখন হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন মহান আল্লাহ।

নবীজী (সা.) নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বেই ‘আল-আমীন’ উপাধী অর্জন করেছিলেন। তাঁর এই উপাধী ছিল ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও সত্যবাদিতার ফল। তাঁর মধ্যে সম্মিলন ঘটেছিল সমুদয় মানবীয় সদ্গুণের: করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, শান্তিবাদিতা। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি কর্মময়তাও ছিল তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা ছিল তাঁর ব্রত। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়-ছোট-বড় নির্বিশেষে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলীর মানুষ হিসেবে তিনি সর্বকালে, সব দেশেই স্বীকৃত। উল্লেখ্য, “পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)” কারো কারো কাছে “সীরাতুন্নবী (সা.)” নামেও পরিচিত।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়