শুক্রবার

১৯ এপ্রিল ২০২৪


৬ বৈশাখ ১৪৩১,

১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ইডেনের ছাত্রলীগের বহিষ্কৃতরা আমরণ অনশনের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১২:৫১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২  
ইডেনের ছাত্রলীগের বহিষ্কৃতরা আমরণ অনশনের হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (২৬ সেপ্টেম্বর): ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত রাতে ১৬ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।  এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বহিষ্কৃত সদস্যরা।

আজ সোমবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দেওয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। অন্যথায় আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দেন বহিষ্কৃতরা।

বহিষ্কৃত সদস্যরা বলছেন, নির্যাতনের শিকার হয়ে যেখানে বিচার পাওয়ার বিপরীতে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। মূলত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে ভুল বুঝিয়ে অপরাধ করেও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও তাদের অনুসারীরা পার পেয়ে যাচ্ছেন।

গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কার ও কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হল।

সেইসঙ্গে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোনালী আক্তার, সুস্মিতা বাড়ৈ, জেবুন্নাহার শিলা, কল্পনা বেগম, জান্নাতুল ফেরদৌস, আফরোজা রশ্মি, মারজানা উর্মি, সানজিদা পারভীন চৌধুরী, এস এম মিলি, সাদিয়া জাহান সাথী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খানম বিন্তি ও সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী এবং কর্মী রাফিয়া নীলা, নোশিন শার্মিলী, জান্নাতুল লিমা, সূচনা আক্তারকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ইডেন কলেজের অডিটোরিয়ামের সামনে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার সংবাদ সম্মেলন চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সহ-সভাপতি সুম্মিতা বাড়ৈসহ আহতদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।

ওই সময় একটি পক্ষ ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ক্যাম্পাস থেকে বের না করা পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাবে বলে জানায়, আরেকটি পক্ষ শনিবারের ঘটনার ভুক্তভোগী পক্ষের অংশকে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে অবস্থান করে।

এর পূর্বে, শনিবার রাতে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়ার চাঁদাবাজি ও সিট বাণিজ্য নিয়ে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসকে হল থেকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

এরপর ওইদিন রাত ১১টার দিকে মুখোমুখি অবস্থান নেয় কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসকে নির্যাতনের অভিযোগে সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা, সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা ও তাদের অনুসারী সমর্থকদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়