হলি আর্টিজান হামলার ছয় বছর আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (০১ জুলাই): আজ ১ জুলাই হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকী। রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ছয় বছর আগে এই দিনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
২০১৬ সালের এই দিনে রেস্তোরাঁয় অস্ত্রের মুখে নব্য জেএমবি তথা আইএসপন্থী সন্ত্রাসী দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে হত্যাযজ্ঞ চালায়। সে-দিন ওই উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ দেশি-বিদেশি ২২ জন নিহত হন।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন: ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ৩ জন বাংলাদেশী ও ১ জন ভারতীয়। সেই বর্বর হামলায় স্তব্ধ হয়ে পড়ে সারা দেশ। এদিকে, জিম্মিদের মুক্ত করতে অভিযান চালাতে গিয়ে মারা যান পুলিশের ২ কর্মকর্তা নিহত হন।
তবে, ওই হামলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অব্যাহত অভিযানে দেশে উগ্রবাদী তৎপরতা কমে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হোলি আর্টিজানে বর্বর হামলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান ও তৎপরতার কারণে উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে এসেছে।
নব্য জেএমবি বা আইএসপন্থী সন্ত্রাসীরা ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রেস্তোরাঁয় প্রবেশের পরপরই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। প্রথম দফায় জিম্মি নাগরিকদের মুক্ত করতে অভিযান চালাতে গিয়ে দু্ইজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় সেখানে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, নেভি কমান্ডো ও সেনাবাহিনী যুক্ত হয়।
উগ্রপন্থীদের হামলায় তথা গুলি ও ধারালো অস্ত্রের কোপে রেস্তোরাঁয় আসা গর্ভবতী নারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, উন্নয়ন সহযোগী বিদেশি নাগরিকরা হত্যার শিকার হন। করে। সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে পরদিন সকালে শেষ হয় ১২ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর জিম্মিদশার। অভিযানে সরাসরি হামলায় জড়িত পাঁচ চরমপন্থী নিহত হয়।
প্রসঙ্গত, এই জঙ্গি হামলা সংঘটিত হয়েছিল পবিত্র রমজান মাসে। এই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। হামলাকারী পাঁচজনকে তাদের ‘সৈনিক’ বলেও দাবি করে জঙ্গি সংগঠনটি। তবে সরকার আইএসের এই দাবিকে নাকচ করে দিয়ে বলেছে, দেশীয় জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি এই হামলার জন্য দায়ী।