শুক্রবার

১৯ এপ্রিল ২০২৪


৬ বৈশাখ ১৪৩১,

১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৮:১০, ২৬ জুন ২০২২   আপডেট: ১৮:১৪, ২৬ জুন ২০২২
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পিন্টু। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (২৬ জুন): ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদীর রেলস্টেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে বোমা হামলা ও গুলির মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাকারিয়া পিন্টুকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পিন্টু এ মামলার শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন।

গতকাল শনিবার রাতে কক্সবাজার থেকে ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয় বলে আজ রবিবার কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের প্রধান খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, গ্রেফতার হওয়া পিন্টু ২৮ বছর আগে ১৯৯৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি। ওই মামলায় ২০১৯ রায় ঘোষণা করা হয়। এর পরের দিনই সে দেশ ত্যাগ করে ভারতে আত্মগোপন করে। 

র‍্যাব আরও জানায়, কিছুদিন অবস্থানের পর দেশে ফিরে আসে। পরবর্তী সময়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সে ঢাকা, রাজশাহী ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে থাকে। 

১৯৯৪ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা নিক্ষেপের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। ১৯৯৭ সালে ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। এর মধ্যে পাঁচজন আসামি মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে ঐ মামলা হতে অব্যাহতি দিয়ে বাকি ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১৯ সালের ৩ জুলাই গ্রেফতারকৃত জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ওই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মোখলেছুর রহমান বাবলু, একেএম আখতারুজ্জামান, জাকারিয়া পিন্টু, মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল, মাহবুবুর রহমান পলাশ, শামসুল আলম, মুজিবুর রহমান, শহিদুল ইসলাম অটল ও শামসুজ্জামান। 

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মামলাটি র পুনঃতদন্ত হয়। আদালত তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান। তদন্ত শেষে ঈশ্বরদী বিএনপি ও যুবদলের ৫২ শীর্ষ নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করে নতুন চার্জশিট তৈরি করা হয়। ২০১৯ সালের ৩০ জুন  ৩০ জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে, ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের তৎকালীন নেতা ছিলেন তারা। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। একই বছরের ২ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আরও দুই আসামি। পরদিন রাতে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

জাকারিয়াকে গ্রেপ্তারের পর, ৩৪ জন আসামি এখন কারাগারে, ১৩ জন পলাতক এবং বিগত ২৫ বছরে মারা গেছে পাঁচজন।

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়