শুক্রবার

২৯ মার্চ ২০২৪


১৫ চৈত্র ১৪৩০,

১৯ রমজান ১৪৪৫

বাঙালিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে নাই, পারবে না, ইনশাআল্লাহ: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ২৫ জুন ২০২২   আপডেট: ১৬:২৪, ২৫ জুন ২০২২
বাঙালিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে নাই, পারবে না, ইনশাআল্লাহ: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (২৫ জুন): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেই ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাঙালিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবা না। হ্যাঁ, বাঙালিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে নাই, পারবে না, ইনশাআল্লাহ। 

আজকের দিনকে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করে আসলাম, আলহামদুলিল্লাহ।

আজ শিবচর মাদারীপুর প্রান্তে আজ শনিবার দুপুরে পদ্মা সেতুর উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি যেকোনো ত্যাগ করতে প্রস্তুত। ‘নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি, দেওয়ার কিছু নেই। আছে শুধু ভালোবাসা, দিয়ে গেলাম তাই’।

তিনি বলেন, আমরা ২০০১ সালে এই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘কখনোই সেতু করতে পারবে না’। আমরা কিন্তু করতে পেরেছি, আপনারা পাশে ছিলেন বলে। জনগণের শক্তি বড় শক্তি। আমি সেটাই মনে করি।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, বাবা-মা, ভাই-বোন হারিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। আপনারাও আমার পাশে ছিলেন।

তিনি বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এর আগে, পদ্মার মাওয়া প্রান্তে শনিবার সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে মুন্সীগঞ্জের দোগাছি পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-১ এ পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা। সেখান থেকে পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সমাবেশে অংশ নেন সাড়ে ৩ হাজার সুধীজন। যাদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকরা। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন। পরে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

এরপর বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর ১২টা ৩৬ মিনিটে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে টোল প্লাজা সংলগ্ন উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি মোনাজাতে অংশ নেন।

সেতুর মাওয়া প্রান্তে টোল পরিশোধ শেষে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে জাজিরা প্রান্তে পৌঁছে সেতু ও ম্যুরাল-২ এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন। এরপর জনসভায় যোগদান শেষে জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া-২-তে যাবেন। সেখান থেকে তিনি হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে আসবেন।

আগামীকাল ২৬ জুন ভোর ছয়টা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে। ২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়।

Nagad
Walton

সর্বশেষ